× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডলার সংকটে চাল-গ্যাসের বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৪ পিএম

ডলার সংকটে চাল-গ্যাসের বিল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সরকার

ডলার সংকটের কারণে চাল ও গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘চাল বা ফুয়েল এগুলো না হলে তো দেশ চলবে না। এগুলোর বিল পর্যন্ত দিতে পারছে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংক। আপনারা তো বুঝতেই পারছেন ব্যাংকিং সেক্টরে কী ধরনের অরাজকতা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে, তখন সরকারও এই ধরনের রেস্ট্রিকশন তুলে নেবে।’

আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘অনেকে আগের নিয়মে কাগুজে রিটার্ন দাখিল করেছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ থেকে ৩৮ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। দেশে বর্তমানে টিআইএনধারী করদাতার সংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখের মতো।’

তিনি আরও জানান, রবিবার রাত ১২টার আগে রিটার্ন দাখিল করলে কোনো জরিমানা লাগবে না। তবে এরপরও রিটার্ন দাখিল করা যাবে, সে ক্ষেত্রে জরিমানা গুনতে হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সারা বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা  দেবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারও কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না।’

গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বর্ণ চোরাচালান রোধে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা দেশের মানুষের জন্য, কারও জন্য ভালো নয়। তাহলে এ খারাপ কাজটা আমরা কেন কন্টিনিউ করছি। যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা ধরতে পারি না, নানান কারণে। এজন্য সমস্যাগুলো শুনতে চাই।’

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সমস্যাগুলো কী আমাদের জানান। আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আপনাদের সমস্যাগুলো জেনে, সমস্যা দূর করতে চাই। এত এত সোনার বাজার অথচ সোনা আমদানি নেই কেনÑ এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাব আমি খুঁজতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এজন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এই চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রচুর খুনখারাবি হয়। সর্বশেষ বড় একটা সেনসেশনাল, মান্টিন্যাশনাল কিলিং দেখেছি। যার বডিও পাওয়া যায়নি। বলা হয়, উনি এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।’

স্বর্ণ আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরও আমাদের সোনা আমদানি হয় না কেন? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে স্বর্ণ আসছে, বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নেই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি অ্যালাউ করা হয়েছে, আমদানি নীতিমালা আছে।’

বাজুসের তথ্য বলছে, সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনা ও হীরার অলংকার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে, বছরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্র জানায়, সব শেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুয়েলারি খাত থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছিল ১০৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। দেশে জুয়েলারি খাতে ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ। সে হিসাবে আলোচ্য অর্থবছরে সারা দেশে জুয়েলারি বিক্রি হয়েছিল দুই হাজার ১৭৯ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে দেশে স্বর্ণের বাজার প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক বড়। দেশে প্রতিবছর প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টন স্বর্ণের চাহিদা আছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে।

অন্যদিকে ঢাকা কাস্টমসের তথ্য মতে, শুধু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমেই ২০২০ সালে ২.৭৭৫ টন, ২০২১ সালে ২৫.৬৮৯ টন, ২০২২ সালে ৩৫.৭৩৩ টন এবং ২০২৩ সালে ৩১.৪৬৮ টন স্বর্ণের বার ব্যাগেজ রুলসের আওতায় আমদানি হয়েছে, যার প্রায় পুরোটাই এসেছে শুল্কমুক্ত সুবিধায়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা