× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ইতিহাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৩ পিএম

ইতিহাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরে

তারল্য ব্যবস্থাপনায় সংকট, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা, টাকার অবমূল্যায়ণসহ নানা কারণে দেশের বেসরকারি বিনিয়োগে ভাটা পড়েছে। এতে ইতিহাসে সর্বনিন্ম অবস্থানে নেমে এসেছে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি। গত ডিসেম্বরে ঋণের প্রবৃদ্ধি নেমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। 

ব্যাংকাররা বলছেন, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেনামি-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমে আসা এবং দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ও পর্ষদে পরিবর্তন হয়েছে এমন ১১টি ব্যাংকের নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকায় এ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলো অবশ্য আমানতকারীদের টাকার চাহিদা মেটাতেই এখন হিমশিম খাচ্ছে। এজন্য কমেছে প্রবৃদ্ধি। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হবে এবং এই সমস্যা সমাধান হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হয়েছিল। যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ম। এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ। তবে গত ডিসেম্বরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিচে রয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ছিলো ২১ লাখ ৫০ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ঋণ ছিলো ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা। অন্যান্য সরকারি খাতের ঋণ ছিলো ৫০ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এছাড়া বেসরকারি খাতের ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের একই সময়ে এই ঋণের পরিমাণ ছিলো ১৫ লাখ ৭০ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বেসরকারি খাতের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০৬ কোটি টাকা বা ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। 

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কমে আসায় অনেক ব্যাংক সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে ঋণের চেয়ে বেশি মুনাফা মিলছে। কারণ, ঋণ দিলে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি থাকে আর বিল ও বন্ডে মুনাফা নিশ্চিত হয়। আর সরকারি বিল বন্ডে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকিও কম আবার ব্যাংকে পরিচালন ব্যয়ও কমে।

বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ কমে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ব্যাংকগুলোর তারল্যের সংকটের কারণে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগের পরিবেশ ছিলো না। এজন্য এ খাতের বিনিয়োগ কমেছে। তবে সরকারের স্থিতিশীলতায় এটি আবার বাড়বে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই আগামী মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা