× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ছাপানো টাকা উত্তোলনে ধীরগতি

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৮ পিএম

ছাপানো টাকা উত্তোলনে ধীরগতি

দুর্বল ছয়টি ব্যাংকের আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বিশেষ ধার হিসেবে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে ওই ধারের বিপরীতে সবল ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা তুলে নেওয়ার উদ্যোগ নেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই উদ্যোগে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। 

এখন পর্যন্ত ১২টি নিলামে উত্তোলন হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া কয়েকটি নিলামে এক টাকাও ধার নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে তুলে নেওয়া টাকার মধ্যে বড় একটি অংশ আবার মেয়াদ শেষে নিয়ে নিয়েছে ব্যাংকগুলো। ফলে তুলে নেওয়া টাকার স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০৫ কোটি।

সাধারণভাবে ব্যাংকের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নেয় ব্যাংকগুলো। দীর্ঘদিন ধরে ছয়টি ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবে বড় ঘাটতি নিয়ে চলছিল। সাধারণভাবে কোনো ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত চলতি হিসাবে টাকা না থাকলে লেনদেন করতে পারে না। ওই সময় এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকাÑ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও ন্যাশনাল ব্যাংকের চলতি হিসাবে ঋণাত্মক রেখেই লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হয়। ড. আহসান এইচ মনসুর গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে ঘোষণা দেন, নতুন করে আর এসব ব্যাংককে টাকা ছাপিয়ে দেওয়া হবে না। ব্যাংকগুলোর সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ভালো ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে এসব ব্যাংকে দেওয়ার উদ্যোগ নেন তিনি। তাতে সাড়া না পেয়ে শেষ পর্যন্ত গত নভেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ছয়টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা দেয়। 

গত ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের প্রথম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বরে দুটি নিলামে উত্তোলন করা হয় ৯৫৪ কোটি টাকা। এর সুদহার ছিল ১১ দশমিক ১০ শতাংশ। এরপর ডিসেম্বর মাসে ৪টি নিলামে উত্তোলন করা হয় ১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা, যার সুদহার ছিল ১১ দশমিক ৪৯ থেকে ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ। জানুয়ারি মাসেও একই রকম সুদ দিয়ে টাকা তোলার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যদিও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। 

বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি গড়ে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ সুদে ৪০০ কোটি টাকা উত্তোলন হয়েছে। ৯ জানুয়ারির নিলামে ১২ দশমিক ৬৫ থেকে ১৩ শতাংশ সুদে মাত্র ৪০ কোটি টাকা রাখার চেষ্টা করে দুটি ব্যাংক। এদিন এক টাকাও নেওয়া হয়নি। গত ১৫ জানুয়ারির নিলামে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ সুদে উত্তোলন হয়েছে মাত্র ২৫ কোটি টাকা। এরপর গত ২২ জানুয়ারি নিলামে ১৩ শতাংশ সুদে ২০ কোটি টাকা রাখার চেষ্টা করে একটি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক শেষ পর্যন্ত আর এই টাকা উত্তোলন করেনি। জানা গেছে, বর্তমানে সার্বিকভাবে ব্যাংক খাতে আমানতপ্রবাহে গতি কম। এ কারণে নিয়মিত বিল ও বন্ডের নিলামের বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংক বিলে আগ্রহ কম দেখাচ্ছে ব্যাংকগুলো। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‌‘বাংলাদেশ ব্যাংক বিলের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের যে প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছে তা দরকারি ছিল বলে মনে হয় না। এখন স্পষ্ট হলো যে এটার দরকার ছিল না। যদি টাকা তুলতেই হয় তাহলে সুদহারের করিডর কমিয়ে দিলেই হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা