প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৪ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বর্তমান-সাবেক কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এই আদেশ দেন। দুর্ণীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লকার খোলার অনুমতি দিয়েছেন। এই আদেশের ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশির বাধা কাটল।’
এর আগে গত রবিবার লকার খোলার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান। তার স্বাক্ষর করা ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নরের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কিছু কর্মকর্তারাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটায়ও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে। কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টের লকারে রক্ষিত অন্যান্য কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিটসমূহ তল্লাশি ও ইনভেন্টরি লিস্ট করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন দাখিলের অনুমতি দিয়েছেন।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের লকারে তল্লাসি চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম। একটি মামলার অণুসন্ধানের অংশ হিসেবে ওই তল্লাসী চালাতে গিয়ে এসকে সুরের নামে থাকা ৩ টি লকারে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩শ মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণলঙ্কার এবং এফডিআরের ৭০ লাখ টাকা পায় দুদক টিম। পরে এসব অর্থ ও মালামাল বাংলাদেশ ব্যাংকের হেফাজতে রাখা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেইফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ভল্ট থেকে কেউ কিছু জমা রাখতে পারছে না, আবার যারা জমা রেখেছেন তাদের তারও তুলতে পারবেন না। দুদকের পরিচালক (উপসচিব) কাজী সায়েমুজ্জামান এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন তারা। গত ২ ফেব্রয়ারী চিঠি দেয় দুদক।