প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৬ পিএম
সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য কমলেও এখনো তা ১০ শতাংশের বেশিই রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ, যেটি ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারিতে সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিবিএস প্রকাশিত জানুয়ারি মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭২ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে যে পণ্য কিনতে ১০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে সেই একই পণ্য ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে কিনতে ব্যয় করতে হয়েছে ১১০ টাকা ৭২ পয়সা।
সিপিআইয়ের তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, আগের মাস ডিসেম্বরে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ।
সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি। জানুয়ারি মাসে এ হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, যেটি ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।
জানুয়ারিতে শহর ও গ্রামে উভয় স্থানে মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে এখনো শহরের তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি। গ্রামে জানুয়ারিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ, যেটি ডিসেম্বরে ছিল ১১ দশমিক শূন্য শতাংশ। খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার জানুয়ারিতে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশে অবস্থান করছে।
জানুয়ারিতে শহরে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এটি ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। খাদ্যে ডিসেম্বরে ছিল ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ, জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশে। এছাড়া খাদ্য বর্হিভূত মূল্যস্ফীতি যথাক্রমে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৭ ও ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ।
এদিকে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পাশাপাশি বেড়েছে মজুরি বৃদ্ধির হারও। ডিসেম্বরে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি মজুরি বেড়েছে সেবা খাতে। জানুয়ারিতে এ খাতে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শিল্প খাতে মজুরি বৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং কৃষি খাতে বেড়েছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।