প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৯:৩৬ পিএম
প্রবা ফটো
বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব কাটতে না কাটতেই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। তবে এতাে চাপের মধ্যেও দেশের তৈরি পোশাক খাত রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিতকায় চলতি বছরের প্রথম ৮ মাস জানুয়ারি থেকে আগস্টে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বাজারে ১ হাজার ৫৩৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা গত বছরের একইসময়ে ছিল ১ হাজার ৫৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার।
ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বলছে, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। যেখানে সারাবিশ্ব থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্টে পোশাক আমদানির প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৭ শতাংশে। অর্থের হিসাবে পরিমানটা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭১৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে ২০২২ সালের আগস্টে পোশাক রপ্তানি করে ২২২ কোটি ডলার। যা গত বছরের একইসময়ে ছিল ১৪২ কোটি ৪৫ লাখ ডলারে।
ইউরোস্ট্যাটের মতে, এই সময়ে ইউরোপ, চীন থেকে আমদানি করেছে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি ডলারের পোশাক। এক বছরের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। একইসঙ্গে তুরস্ক থেকে ইউরোপে আমদানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ফলে আমদানি পৌঁছেছে ৮১৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। কম্বোডিয়া থেকে ৪২ দশমিক ২১ শতাংশ, পাকিস্তান থেকে ৩১ দশমিক ৩৪ শতাংশ, ভিয়েতনাম থেকে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৫ দশমিক ৪১ শতাংশ, ভারত থেকে ২৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ আমদানি বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোস্ট্যাটের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাসে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির বেড়েছে ৬৬ দশমিক ১৬ শতাংশ। একইভাবে ২০১৯ থেকে ২০২২ এর প্রথম ৮ মাসে অর্থাৎ তিন বছরের ব্যবধানে ইউরোপ, বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
রপ্তানির এমন প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএর পরিচালক, মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এখন অবধি ইউরোপের বাজারে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো রয়েছে। বরাবরই বেশ ভালো থাকে। তবে এই পরিসংখ্যান কিন্তু আগস্ট পর্যন্ত তথ্যের চিত্র তুলে ধরছে। সামনে আসলে কি হয় তা দেখার বিষয় রয়েছে। কেননা বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি এবং ক্রয়াদেশ কম থাকার কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমের দিকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারপরও উদ্যেক্তারা আশাবাদী, তারা ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে।