প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩৬ পিএম
বিদেশি ঋণ নিয়ে রপ্তানিমুখী খাতে ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, চীনা প্রকল্পের ঠিকাদাররা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গেছেন। আমরা সে অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছি।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ প্রকল্পের চীনের অর্থায়ন আছে। আমরা খতিয়ে দেখেছি এই ঋণের ক্ষেত্রে কোনো দুর্বলতা বা ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে কি না, সেটি হয়নি। গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প আমাদের সরকারের নয়, গত সরকারের ছিল।
তিনি আরও বলেন, বিদেশি ঋণ বেশি নিলেও সেটি যেন উৎপাদনশীল কাজে লাগানো যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। এই ঋণ রপ্তানিমুখী খাতে ব্যয় করা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, চলমান প্রকল্প চলছেই। সেগুলো তো মাঝপথে বন্ধ করা যাবে না। তবে অবকাঠামো অংশ বাদ দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে। যেমন- শুধু মেডিকেল কলেজ বা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে । কিন্তু সেগুলো যন্ত্রপাতি পরিচালনা এবং শিক্ষা দেওয়ার মতো দক্ষ শিক্ষক নেই। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ৮০ শতাংশ শিক্ষক নেই। সেজন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গত সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধের চাপ বাড়ছে এ অর্থবছর থেকেই। আর আগামী অর্থবছরগুলোতে আসল পরিশোধের ব্যাপক চাপ বাড়বে। এরপরও বলবো বিদেশি ঋণ আমাদের জন্য খারাপ নয়। যেমন ভিয়েতনাম অনেক বিদেশি ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু তারা তো কোনো সমস্যায় পড়েনি। বিদেশি ঋণ যদি সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ তৈরি করে তাহলে ভালো।
বাজেট ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, এবার উন্নয়ন বাজেটে (এডিপি) সংশোধনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দেশীয় অর্থায়নের চেয়ে বৈদেশিক অর্থায়ন বেশি হবে। যেমন বৈদেশিক ঋণ হবে উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ৬০ ভাগ আর দেশীয় অর্থায়ন হবে ৪০ ভাগ। রাজস্ব আয় না বাড়ার কারণে এ উদ্যোগ আছে। তবে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।