প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫১ পিএম
দেশের পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে কোনো অনিবাসী বা বিদেশি নাগরিক কিংবা প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ টাকা মূল্যের বেশি বিনিয়োগ বাধ্যতামূলকভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) জারিকৃত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, কোনো দেশীয় কোম্পানির শেয়ার ইস্যুর ১৪ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে। সেখানে শেয়ারহোল্ডারের নাম-ঠিকানা, শেয়ারের সংখ্যা, ইস্যুর তারিখ, প্রতি শেয়ারের অভিহিত মূল্য, শেয়ার প্রিমিয়াম, অনলাইনে ব্যবহৃত রিপোর্টিং আইডি, ইস্যুকৃত শেয়ারের মোট মূল্যমান, বৈদেশিক মুদ্রায় বিনয়োগের পরিমাণ, বিনিয়োগ দেশে আনার তারিখ, বিনিয়োগকারীর দেশের নাম প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া সুইফটের মাধ্যমে লেনদেনের জন্য উপযুক্ত হিসাব নম্বর, খুদে বার্তার মাধ্যম হিসেবে ইমেইল, স্বাক্ষর প্রভৃতি উল্লেখ করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়, শেয়ার ইস্যুর আগেই বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। শেয়ারহোল্ডার এবং বিনিয়োগের উৎস ও দেশ উল্লেখ করতে হবে। দেশের অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকের পাঠানো প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে ১৪ দিনের মধ্যে নির্দেশনা দেবে।
জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে দুই ধরনের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ করেন। তার একটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে, যা ইকুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে পরিচিত। অন্যটি ডেবট সিকিউরিটিজে। ইকুইটি সিকিউরিটিজ বলতে সেসব সিকিউরিটিজকে বোঝায়, যারা বছরের শেষে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়। তালিকাভুক্ত লভ্যাংশনির্ভর বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইকুইটি সিকিউরিটিজ হিসেবে বেশি পরিচিত। আর ডেবিট সিকিউরিটিজ বলতে সেসব সিকিউরিটিজকে বোঝায়, যারা বিনিয়োগের বিপরীতে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিয়ে থাকে। এ ধরনের সিকিউরিটিজের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বিল ও বন্ড।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরে ইকুইটিতে বিদেশি বিনিয়োগের মোট পরিমাণ ছিল ৮২ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৯ কোটি ডলার বা ৩২ শতাংশ কম। এই ৮২ কোটি ডলারের মধ্যে ৮০ কোটি ডলারই ছিল ১০ দেশের বিনিয়োগ।