প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৭ পিএম
আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪২ পিএম
চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসার প্রত্যাশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বাজার স্বাভাবিক করতে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ক্রমাগত ব্যয় বাড়াচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১ রকমের ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। বিষয়টি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা ৩ মাস থেকে আরও ৬ মাস বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
এ বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে বিশেষকরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরও হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস থেকে বাড়ানো যায় কিনা সে ব্যাপারে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই এবং ডলারের মূল্য বেশ স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল আছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশ ইতিবাচক। রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর সুফল শিগগিরই দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে।’
এছাড়া ব্যবসায়ী নেতাদের দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলী আরও শিথিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি।