প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৯ পিএম
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। ফাইল ফটো
রমজান সামনে রেখে সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে বলে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, তবে এটা সাময়িক।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাটের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা জানান, সরকার সামগ্রিকভাবে রমজানের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে চালের বাজার নিয়ে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, চালের আমদানি উদারীকরণ করা হয়েছে, যা এর আগে ৬৩ শতাংশ শুল্ক ছিল, তা ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বর্তমানে মিয়ানমার, পাকিস্তান ও ভারত থেকে কয়েক লাখ টন চাল সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে আমনের ভরা মৌসুম চলছে এবং এপ্রিল নাগাদ বোরো ধান আসবে। উপদেষ্টা আশাবাদী যে, আগামী তিন মাসে চালের বাজারে যে সাময়িক অস্থিরতা চলছে, তা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমাদের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, চালের কোন ঘাটতি নেই, বলেন তিনি।
চালের দাম বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেটের যোগসাজশের প্রশ্নে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, যদি সাংবাদিকরা সিন্ডিকেট চিহ্নিত করতে পারেন, তাহলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হবে। তবে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, গত বন্যা ও বিভিন্ন পরিস্থিতির কারণে চালের দাম বেড়েছে, কিন্তু বাজারে কোনো ঘাটতি নেই।
তিনি আরও বলেন, সরকার আমদানি আরো উদার করে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।
এ সময় বাজারে উচ্চ মূল্য সংক্রান্ত উদ্বেগের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এটা অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু এটি সাময়িক। এক দিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হবে এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই।
টিসিবির কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, চালের সরবরাহ বাড়াতে ৫০ লাখ পরিবারকে কম দামে চাল দেওয়ার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এছাড়া, স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারকে এই সপ্তাহ থেকেই টিসিবি চাল সরবরাহ শুরু করবে। এক কোটি স্মার্ট কার্ডের মধ্যে দুর্নীতি থাকায়, এখন শুধুমাত্র সঠিক প্রাপকরা চাল পাবেন। তিনি জানান, আরো ৩৭ লাখ নতুন কার্ড যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেছেন যে, ক্রয় ও বিপণন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার মাধ্যমে টিসিবি কর্মসূচি আরও সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।