× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ফের চাঙ্গা মোবাইল ব্যাংকিং

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৪ পিএম

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:১৪ পিএম

ফের চাঙ্গা মোবাইল ব্যাংকিং

সবশ্রেণির মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বড় উপাদান মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিং। সহজ ও সময়সাশ্রয়ী এই মাধ্যম দ্রুততার সঙ্গে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকালীন থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরবর্তী সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ভাটা পড়ে। গত জুলাইয়ে মাসের ব্যবধানে ৩৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন কমে যায় এ জনপ্রিয় মাধ্যমে। তবে এরপর ধীরে ধীরে লেনদেন বাড়তে থাকে। গত অক্টোবরে ফের চাঙা ভাব দেখা যায়। গত জুনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয় অক্টোবর মাসে। এ চিত্র বলে দেয় মোবাইল ব্যাংকিং পুনরায় স্বাভাবিক হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এটি আরও জনপ্রিয় হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। 

বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ও তাৎক্ষণিক আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। শুধু অর্থ পাঠানোই নয়, অনেক নতুন সেবাও মিলছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা বিতরণসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামেগঞ্জে বিদেশ থেকে প্রিয়জনের কাছে সহজে ও দ্রুততার সঙ্গে টাকা পাঠাতে পারছেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এ মাধ্যমটি। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জুনে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল, যা ছিল একক মাসের হিসাবে সবচেয়ে বেশি। আর গত অক্টোবর মাসে হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন। এই মাসে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সে হিসেবে অক্টোবর মাসের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৯ হাজার ৭৯০ কোটি টাকা। আগস্টে লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৯২১ কোটি টাকা। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। জুলাইয়ে জুনের তুলনায় প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে এ চিত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। 

তথ্য বলছে, বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবার যাত্রা শুরু হয় ২০১১ সালের ৩১ মার্চ। বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংক প্রথম এ সেবা চালু করে। পরে এটির নাম বদলে হয় রকেট। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এমএফএস সেবা চালু করে বিকাশ। পরবর্তী সময়ে আরও অনেক ব্যাংক এ সেবায় এসেছে। তবে খুব সুবিধা করতে পারেনি। বর্তমানে বিকাশ, রকেটের পাশাপাশি মাই ক্যাশ, এম ক্যাশ, উপায়, শিওর ক্যাশসহ ১৫টি ব্যাংক এ সেবা দিচ্ছে। এর বাইরে ডাক বিভাগের নগদও দিচ্ছে এই সেবা। এখন মোবাইল ব্যাংকিং শুধু টাকা পাঠানোর মাধ্যম না। এর ব্যবহার হচ্ছে সব ধরনের লেনদেনে। বিশেষ করে পরিষেবা বিল পরিশোধ, স্কুলের বেতন, কেনাকাটা, সরকারি ভাতা, টিকিট ক্রয়, বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ ও অনুদান প্রদানের অন্যতম মাধ্যম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে মোবাইলে লেনদেনের অঙ্ক ছিল এক লাখ ২৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন হয় ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। মার্চ মাসে ছিল ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা। এপ্রিল ও মে মাসে লেনদেন হয় যথাক্রমে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯২৯ কোটি ও ১ লাখ ৪০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে লেনদেনের অঙ্ক ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা; নভেম্বরে হয়েছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। তার আগের মাস অক্টোবরে এক লাখ ২০ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়। সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয় এক লাখ ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগস্টে লেনদেনের অঙ্ক ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।

২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষ চার মাসেই (মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন) মোবাইলে লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে তা কমে লাখ কোটি টাকার নিচে, ৯৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকায় নেমে আসে। এরপর থেকে প্রতি মাসেই লাখ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোবাইলে লেনদেন হয়েছিল ৩২ হাজার ১১৬ কোটি টাকা। এভাবেই বাংলাদেশে মোবাইলে আর্থিক সেবা বা এমএফএস ব্যবহার দ্রুত গতিতে বাড়ছে।

চালুর পর থেকেই বেড়েই চলেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক। যা কোনো মাসেই কমতে দেখা যায়নি। একজন গ্রাহক একাধিক এমএফএস সেবায় হিসাব খুলতে পারেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোট গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৬৮। চলতি বছরের অক্টোবরে সেই গ্রাহক সাড়ে ৩ গুণ বেড়ে ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪ হাজার ৭১৩ তে দাঁড়িয়েছে। আগের মাস সেপ্টেম্বরে গ্রাহক সংখ্যা ছিল ২৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫২৩।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা