× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভারতীর ঋণের প্রকল্পে ব্যয় বেশি সুফল কম

আরমান হেকিম

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:২৯ এএম

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০০ এএম

ভারতীর ঋণের প্রকল্পে ব্যয় বেশি সুফল কম

ভারতীয় ঋণের আওতায় নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে অত্যন্ত ধীরগতিতে। বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) ঋণের অধীন নেওয়া প্রকল্পগুলোর অধিকাংশই সময়মতো আলোর মুখ না দেখায় দফায় দফায় বাড়ে সময় ও ব্যয়। অর্থছাড়ের জন্য চিঠি পাঠালে এক বছরেও মেলে না জবাব।

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট অনেকেই মনে করেন, এলওসির আওতায় চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগ ভারতীয় স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। ট্রানজিট সুবিধার আওতায় ভারতীয় পণ‍্য পরিবহনে এগুলো সহায়তা করবে। এছাড়া এসব ঋণের প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ মালামাল ভারত থেকে কিনতে হবে এবং ঠিকাদারও ভারতেরই। যার ফলে ঋণ দিয়ে দেশটি ব‍্যবসাও করে নিচ্ছে। তবে বাংলাদেশের যোগাযোগ এবং অবকাঠামো খাতের উন্নয়নও হচ্ছে।

তাছাড়া গত সপ্তাহে অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত যেসব প্রকল্পে ঋণ দিয়েছে, সেগুলো নিজেদের প্রয়োজনেই দিয়েছে। যেসব সড়ক ও রেলপথ নিজেদের দরকার ছিল, সেগুলোতে বাংলাদেশকে ঋণ দিয়ে করিয়ে নিয়েছে। সেসব রাস্তার একমাত্র সুবিধাভোগী ভারতই। ভারতীয় ঋণ বাংলাদেশের তেমন কাজে লাগেনি। বরং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ঋণ নেওয়ায় চাপে পড়েছে সরকার।

ঋণচুক্তি

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম এলওসি হয় ২০১০ সালে। এতে ৮৬ কোটি ডলার ঋণচুক্তি হয়। দ্বিতীয় এলওসি হয় ২০১৬ সালে; এতে ঋণ চুক্তি হয় ২০০ কোটি ডলারের। তৃতীয় এলওসি হয় ২০১৭ সালে; এই এলওসিতে ঋণ চুক্তি হয় ৪৫০ কোটি ডলারের। তিনটি এলওসিতে মোট ঋণচুক্তি হয় ৭৩৬ কোটি ডলারের। এর বাইরে ৫০ কোটি ডলারের সামরিক কেনাকাটার চুক্তিও হয় ভারতের সঙ্গে। 

অর্থছাড়

২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব ঋণচুক্তির আওতায় অর্থছাড় হয় ১৬৫ কোটি ডলার। ডিসেম্বরের পরে আরও ১৫ কোটি ডলার অর্থ ছাড় করা হয়। অর্থাৎ সবশেষ অর্থছাড় হয় ১৮০ কোটি ডলার। 

ইআরডি পর্যন্ত ঋণছাড়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১৬৫ কোটি ডলারের মধ্যে প্রথম এলওসির আওতায় ঋণ ছাড় করা হয়েছে ৮০ কোটি ডলার। দ্বিতীয় এলওসির আওতায় ঋণ ছাড় করা হয়েছে ৪০ কোটি ডলার এবং তৃতীয় এলসির আওতায় ৪৫ কোটি ডলার। তবে ইতোমধ্যে প্রথম এলওসির অর্থ পরিশোধ শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এলওসির ১৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। 

এলওসির প্রকল্প

তিনটি এলওসিতে সড়ক ও রেল যোগাযোগ, জ্বালানি, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অবকাঠামো খাতে এ পর্যন্ত ৪২টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারটি প্রকল্প ঋণের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বাদ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৫টি শেষ হয়েছে। চলমান আছে ১২টির মতো এবং বাকি প্রকল্পগুলো পরামর্শক ও ঠিকাদার নিয়োগ কিংবা প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরির পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। 

কাজের অগ্রগতি

ভারতীয় ঋণে রেলওয়ের সাতটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছেÑ কুলাউড়া-শাহবাজপুর সেকশনের পুনর্বাসন, পার্বতীপুর হতে কাউনিয়া পর্যন্ত মিটারগেজ রেলওয়ে লাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর, খুলনা-দর্শনা জংশন সেকশনে ডাবল লাইন নির্মাণ, বগুড়া হতে শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশন সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত নতুন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজে ডাবল লাইন নির্মাণ, খুলনা হতে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ, আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েল গেজ রেল সংযোগ নিমাণ (বাংলাদেশ অংশ)।

বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ প্রকল্প : বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু কাজ না হওয়ায় দুই দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়। ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকার প্রকল্পটিতে ভারতীয় ঋণ ৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের ঠিকাদারই নিয়োগ হয়নি। কারণ, এলওসির আওতায় হওয়ায় ভারতের ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান এক্সিম ব্যাংক ঠিকাদারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিলে দরপত্র আহ্বান করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গত অক্টোবরে ঠিকাদারদের তালিকা চেয়ে ভারতকে চিঠি দিলেও জবাব আসেনি। 

কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্প : প্রকল্পটির মেয়াদ চারবার বাড়ানো হলেও কাজ শেষ হয়নি। এই মেয়াদও শেষ হয় ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর। তবে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৪৫ শতাংশ। ৬৭৮ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ভারত ঋণ দেবে ৫৫৬ কোটি টাকা।

ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ ডাবল লাইন : ভারতের ঋণে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান আরেকটি প্রকল্প হলো, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প। ২০১২ সালে অনুমোদন হয়, প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করতে লাগে ৬ বছর। কাজের অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ। প্রকল্পে ভারতীয় ঋণ ২ হাজার ৮২১ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ দেবে ৫২১ কোটি টাকা। ঋণছাড়ের জন্য এক বছর আগে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হলেও এখনও কোনো উত্তর আসেনি। এ প্রকল্পে ভারত অর্থায়ন করবে কি না সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। 

খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন প্রকল্প : প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হয়। এরপর মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। গত এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ হয়েছে মাত্র ৩.৬০ শতাংশ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে ভারতীয় ঋণ ২ হাজার ৬৮৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। তবে ভারত এখনও প্রকল্পের অর্থ ছাড় করেনি এবং ঠিকাদারও নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েল গেজে রূপান্তর : প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৩ সালে শেষ হলেও এখনও কাজই শুরু হয়নি। চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতের ঋণ ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া চার লেন সড়ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার এই প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। একবার সংশোধনের পর প্রকল্পের খরচ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারতীয় ঋণ ২ হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় ভারতীয় এলওসি থেকে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। বাকি ২ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা দেবে সরকার। ২০২৫ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। যদিও চলতি ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

দেশের ১২ জেলায় হাইটেক পার্ক নির্মাণ : প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয় ২০১৭ সালে এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। সময় বাড়তে বাড়তে এরই মধ্যে তিন বছরের প্রকল্প গড়িয়েছে সাত বছরে। অগ্রগতি হয়েছে ১৫ শতাংশ। যদিও এরই মধ্যে প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের অর্থ পরিশোধ শুরু হয়ে গেছে। বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় সংশোধন করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। এতে ব্যয় বাড়ছে ১২৭ শতাংশ। মোট প্রকল্প ব্যয় অনুমোদিত ১ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা থেকে দ্বিগুণের বেশি বেড়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে ৪ হাজার ১৯৭ কোটি টাকায়। এটি বারবার পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রধানত প্রকল্পে ব্যবহার্য মালামালের উৎস নিয়ে বিতর্ককে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্টরা। 

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প : ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার উত্তরে ১ হাজার ৮৩৪ একর জমির ওপর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড যৌথভাবে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ করছে। জুন পর্যন্ত এ মেগা প্রকল্পটির কাজ শেষ ৯৮.৬৮ শতাংশ। ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির ভারতীয় ঋণ ১৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে এখনও ৭৬৮ কোটি টাকা লাগবে। প্রকল্পটি নিয়ে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন আপত্তি জানিয়ে আসছে।

বাংলাদেশের লাভ কতটুকু

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, এলওসির আওতায় চলমান ও প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগ ভারতীয় স্বার্থেই নেওয়া হয়েছে। যেমন আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চার লেনের সড়ক প্রকল্পটি ট্রানজিটের আওতায় ভারতীয় পণ্য আনা-নেওয়াতেই বেশি কাজে লাগবে। কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ আসামের সঙ্গে যুক্ত হবে। এতে ভারতের পণ্য আনা-নেওয়ার সময় ও খরচ উভয়ই কমে যাবে। ভারতীয় স্বার্থ জড়িত থাকলেও বাংলাদেশের যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতেও উন্নয়ন ঘটছে। যদিও ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাংলাদেশকে কিছুটা চাপে ফেলছে। 

ভারতীয় ঋণের কঠিন শর্ত

এলওসির ঋণের শর্ত হলো, প্রকল্পে কেনাকাটার ৭৫ শতাংশই ভারত থেকে কিনতে হবে। বিশেষ করে নির্মাণ প্রকল্পের ৬৫ শতাংশ কেনাকাটা ভারত থেকেই করতে হয়। এ ধরনের প্রকল্পের আরেকটি শর্ত হলো, কমপক্ষে ১০ শতাংশ কেনাকাটা করতে হবে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে। এছাড়া প্রতিটি ধাপে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। আর প্রকল্পের কাজ পাবেন শুধু ভারতীয় ঠিকাদাররা। আবার প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করা থেকে শুরু করে ঠিকাদার নিয়োগের প্রতিটি ধাপেই এক্সিম ব্যাংকের সম্মতি নিতে হয়।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, এলওসি চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ঋণের প্রকল্পে শুধু ভারতের ঠিকাদাররাই অংশ নিতে পারে। যার ফলে অনেক নির্মাণকাজের দরপত্রে ভারতীয় ঠিকাদাররা অনেক বেশি দর প্রস্তাব করে। 

উদাহরণ দিয়ে তারা বলেন, মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ‘সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামো’ প্যাকেজের ভারতীয় ঠিকাদাররা বেশি দর প্রস্তাব করে। পরে বাধ্য হয়ে এই প্যাকেজটি ভারতীয় ঋণে বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এসব কারণে বেশকিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে ভারতীয় ঋণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু প্রকল্প বাদ দেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। 

এর আগে এলওসির তালিকায় থাকলেও জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন এবং যশোর, কক্সবাজার, পাবনা, নোয়াখালীতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পও ভারতীয় ঋণের আওতা থেকে সরিয়ে এসেছিল সরকার। 

তবে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের মতে, ঋণচুক্তি সংশোধন করে ভারত থেকে মালামাল আনার বাধ্যবাধকতা ৭৫ শতাংশের পরিবর্তে ৩০-৪০ শতাংশ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘এসব শর্ত হলো দ্বিপক্ষীয় ঋণের বিপদ। এর ফলে ক্রয়ের পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে না। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানও কাজ পায় না। এমনিতেই এলওসি ঋণের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার খুবই কম। এর গতি বাড়াতে হলেও চুক্তি সংশোধন প্রয়োজন।’

কিছুদিন আগে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। তারা দুজনই এলওসির প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী। এ সময় সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশটির এলওসির আওতায় চলমান প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই বিদ্যমান সব বড় প্রকল্পের কাজ চলবে। দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় আরও প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। ভারতীয় নাগরিক বিভিন্ন প্রকল্পসহ বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশে কাজ করছে। তাদের নিরাপত্তা চেয়েছে। তাদের অনেকে কাজে আছে।’

প্রণয় কুমার ভার্মা বলেন, ‘ভারত থেকে বাংলাদেশের ঋণের অর্থ ছাড় করার বিষয়েও সমস্যা নেই। এলওসির যে প্রকল্পগুলো বড়, সেগুলো বন্ধ হবে না। আগামী দিনে দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতিতে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে এবং ভারত এ ব্যাপারে ইতিবাচক।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা