প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩০ পিএম
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০১ পিএম
এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিংয়ের দ্বিতীয় সভায় সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। প্রবা ফটো
নতুন ড্যাপে রাস্তার প্রশস্ততার অনুপাতে ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আগে যেখানে প্রশস্ত রাস্তা না থাকলেও ৮ থেকে ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা যেত, এখন সেখানে অনুমোদন পাওয়া যাবে ৪ থেকে ৫ তলার। এ কারণে স্বল্প প্রস্থের রাস্তার পাশের জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। বৈষম্যের শিকার হবেন আবাসন ব্যবসায়ীরাও।
রবিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিংয়ের দ্বিতীয় সভায় আবাসন খাতের উদ্যোক্তারা এ আশংকার কথা জানান।
বৈঠকে জানানো হয়, আগে রাজধানীতে জমির নিবন্ধন ফি নির্ধারণ হতো মৌজার দর অনুযায়ী। নতুন ড্যাপে সেটিকে পরিবর্তন করে বাজার মূল্য অনুযায়ী নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। যেটিকেও আবাসন শিল্পের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা।
বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, আবাসন খাতের সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণায়ের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। এ সময়, নিজেদের ধারণা সমৃদ্ধ করতে আবাসন ব্যবসায়ীদের ড্যাপ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণের পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে টেকসই নগরায়ন নিশ্চিতে ড্যাপকে বাস্তবতার আলোকে সমন্বয় করতে তিনি রাজউকের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ এবং রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, “ড্যাপে বেশকিছু ভালো দিক রয়েছে। তবে আবাসন খাতের জন্য কিছু জটিলতা থেকে গেছে। এসব বিষয়ে সমাধানে আসতে রাজউক, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রিহ্যাব।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ নয়, সহযোগি হয়ে কাজ করতে চাই।”
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বলেন, “এই বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে তুলে ধরাই আমাদের কাজ। আবাসন শিল্পের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সমিতির সঙ্গে বসে সুনির্দিষ্ট সমস্যাগুলো চিহ্নিত করুন।” একই সঙ্গে, আবাসন খাতের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চমূল্যের কারণে এমনিতেই সংকটে রয়েছে আবাসন খাত। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন ড্যাপ নিয়ে শঙ্কা। এমন সংকট থেকে উত্তরণে নীতিনির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলন।
তিনি বলেন, আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপের বিরুদ্ধে নয়। তাদের আপত্তি কেবল টেকসই নগরায়ন এবং আবাসন খাতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে।
এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার, শফিকুল ইসলাম ভরসা, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, আবু মোতালেব, আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হকসহ অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।