× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

মেয়াদ বাড়ে লাফিয়ে কাজ হয় ঝিমিয়ে

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩২ পিএম

মেয়াদ বাড়ে লাফিয়ে কাজ হয় ঝিমিয়ে

দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সঠিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে একটি করে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের উদ‍্যোগ নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরে ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্প নেয় স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পটি যেন নিজেই রোগাক্রান্ত হয়ে গেছে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটি দফায় দফায় সময় বাড়িয়েও শেষ করা যায়নি। প্রকল্পের মেয়াদ সাড়ে ছয় বছর পার হলেও নতুন করে আরও এক বছর মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবের ওপর প্রকল্প মূল‍্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা সোমবার (১৮ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) রেহেনা বেগম।

প্রকল্পের প্রস্তাবনা (ডিপিপি) সূত্রে জানা গেছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল হাসপাতাল নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুন মাসে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি স্বাস্থ‍্য শিক্ষা অধিদপ্তর। এজন্য প্রকল্পের ব‍্যয় না বাড়িয়ে মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ২০২৩ সালে প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী আনা হয়। আবারও মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এই বর্ধিত সময়েও প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এতে এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

ব‍্যয়ের তথ‍্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পের মূল অনুমোদিত ব‍্যয় ছিল ৮৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এরপর প্রথম সংশোধনীতে ব‍্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৯২৪ কোটি ৫ লাখ ৯০ হাজার। অর্থাৎ মূল ব‍্যয়ের প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পের শুরু থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে ৮১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা মোট অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের প্রায় ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময় পর্যন্ত প্রকল্পটির বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।

প্রকল্পের সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে সঠিক ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে চায় সরকার। এজন্য দরিদ্র মানুষের জন্য হাতের নাগালে সাধারণ ও বিশেষায়িত চিকিৎসাব্যবস্থা সৃষ্টি করে গাজীপুর জেলায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ‘শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন’ গাজীপুরে বিনিয়োগ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ব্যয় করে বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পের বিভিন্ন নির্মাণকাজের অর্থের ঘাটতি দেখা দেয়। এ অবস্থায় নির্মাণ কাজে অর্থের ঘাটতি পূরণ ও অত্যাবশ্যকীয় কয়েকটি অঙ্গের চাহিদার পূরণে দ্বিতীয় সংশোধনীতে ২০২৫ সালের জুনে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু মেডিকেল কলেজের জমি অধিগ্রহণ করা, মাস্টারপ্ল্যান তৈরি, ডিটেলড ডিজাইন চূড়ান্ত করতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হয়েছে। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের সব কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এজন্য প্রথম সংশোধিত ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরে চলতি বছরের জুনে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল। নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হয়নি, তাই এখন নতুন করে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত অর্থাৎ এক বছর বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রকল্পটির অনুকূলে ভূমি অধিগ্রহণ বাবদ অব্যয়িত ৪২ কোটি ১৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে ২০২০-২১ অর্থবছরে জমা দেওয়া সত্ত্বেও প্রকল্পের আইবাসে এই টাকা খরচ হিসেবে দেখানো আছে। তাই নির্মাণব্যয় বাবদ বরাদ্দ করা সব অর্থ প্রাপ্তিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই অব্যয়িত টাকা নির্মাণকাজে ব্যবহারের প্রয়োজনে প্রকল্পটি সংশোধন করা জরুরি।

পরিকল্পনা কমিশন বলছে, প্রকল্পটির মেয়াদকালের মধ্যে ৬ বছর ৫ মাস পার হয়েছে এবং আরও এক বছর সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত সংশোধনের আউটসোর্সিং জনবল, মেডিকেল অ্যান্ড সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, চুক্তি বাস্তবায়ন (পিপিপি), স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। 

অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের আওতায় কী ধরনের প্রশিক্ষণ হবে এবং কাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে- তার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রস্তাবিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এ ছাড়া প্রকল্পটির বিদেশ প্রশিক্ষণ কেন জরুরি সেটাও জানা দরকার।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা