× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রেলের বগির দেখা মিলেনি আড়াই বছরেও

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১০ পিএম

রেলের বগির দেখা মিলেনি আড়াই বছরেও

রেলের ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনের জন্য ১০০টি যাত্রীবাহী ক‍্যারেজ বা বগি পুনর্বাসনের জন‍্য এক হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা ব‍্যয়ের একটি প্রকল্প নিয়েছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। তিন বছরের প্রকল্পটির মেয়াদ ইতিমধ্যে আড়াই বছর শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি বগিও পুনর্বাসন করা সম্ভব হয়নি। 

গত ৩ অক্টোবর রেল ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। 

সভায় সভাপতির বক্তব্যে রেল সচিব আবদুল বাকী বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের বিদ্যমান অপারেটিং সিস্টেমকে আপডেট করে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে। এই কাজটি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে করতে হবে। ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য বৈদ্যুতিক বাতি সংযোজনের পরিবর্তে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের কোন কোন আইটেমে ব্যয় কমানো সম্ভব, তা যাচাই করতে হবে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ৫০টি বিজি (ব্রডগেজ) ও ৫০টি এমজি (মিটারগেজ) যাত্রীবাহী ক্যারেজ পুর্নবাসন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ডিপিপি বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রকল্পটি ২০২২ সালের ১ জুন থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৩৮৪ কোটি ৪৬ লাখ ৯১ হাজার টাকা। 

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, প্রকল্পের আওতায় ৫০টি বিজি এবং ৫০টি এমজি ওভারডিউ ব্রডগেজ ও মিটারগেজ যাত্রীবাহী গাড়ী সৈয়দপুর কারখানায় কর্মরত কর্মচারীদের মাধ্যমে পুনর্বাসন এবং পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক ও স্থানীয় মালামাল সংগ্রহ করা হবে। ৫০টি টুলস অ্যান্ড প্রান্ট ও মেশিনারি ক্রয় ও স্থাপন, ৪৭টি টুরস অ্যান্ড প্লান্ট ও মেশিনারি (ইলেকট্রিক্যাল) ক্রয় ও স্থাপন, ৩৬৬টি স্পেয়ার পার্টস ( মেকানিক্যাল) ৫০টি বিজি কোচের জন্য, ৩২১টি স্পেয়ার পার্টস (মেকনিক্যাল ৫০টি এমজি কোচ, ৯৮টি স্পেয়ার পার্টস, ৯৮টি স্পেয়ার পার্টস (ইলেকট্রিক্যাল) ৫০টি এমজি কোচের জন্য, ৫০টি বিজি কোচের শ্রমিক বাবদ ব্যয়ের সংস্থান, ৫০টি এমজি কোচের শ্রমিক বাবদ ব্যয়ের সংস্থান এবং অফিস স্টেশনারি ক্রয় ও বিজ্ঞাপনসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে।

প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছরে ভৌত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র সাত শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতির দশা আরও বেহাল মাত্র শুন‍্য দশমিক ১৯ শতাংশ। প্রকল্পের সময় আছে আর মাত্র ছয় মাস এই সময়ের মধ্যে কোনভাবেই প্রকল্পের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। নতুন করে আরও সময় বাড়ানো হতে পারে। 

সভায় এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঞা বলেন, ঈদের আগে, অর্থাৎ আগামী বছরের মার্চের মধ্যে ২০টি কোচ পুনর্বাসন করা সম্ভব হবে। রেলওয়ের বিদ্যমান অপরেটিং সিস্টেমকে আপডেট করে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের কাজটি বিআরএএসএসের মাধ্যমে চালুর জন্য রিরেক্টর ইনভেন্টরি কন্ট্রোল ও বিআরএএসএস প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) প্রতিনিধি বলেন, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমে কিউআর কোড রাখা হচ্ছে নাকি কম্পিউটারে মালামালগুলো ইনপুটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে, তা জানা প্রয়োজন। কার্যক্রম বিভাগের প্রতিনিধি বিদ্যমান মনিটরিং সিস্টেম থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম থাকা প্রয়োজন আছে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য বলেন।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সভায় বলেন, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমটি সিংগেল সোর্সেস সিলেকশনের মাধ্যমে করার বিষয়টি ডিপিপিতে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের অনুমোদন লাগবে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, সিংগেল সোর্স সিলেকশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম করতে গেলে এখানে আইনি জটিলতা, টেন্ডার ভেরিয়েশনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। 

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (রোলিং স্টক) বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের বর্তমানে যে আন্তঃনগর ট্রেনগুলো চলাচল করছে তা ৩৬৫ কিলোওয়াটের ওপরে। এগুলো বাতিল (অবসোলেট) হয়ে গেছে। ডিপিপিতে ৬৬ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর কেনার সংস্থান রাখা সমীচীন হয়নি। ৬০ থেকে ৭০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন ডিজেল জেনারেটর ক্রয়ের সংস্থান ডিপিপিতে রাখা হলে ঠিক হতো।’

এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘ডিপিপিতে বগিগুলোতে সাধারণ বৈদ্যুতিক বাতি সংযোজনের সংস্থান রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে কোচে অত্যাধুনিক এলইডি লাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনিক অনুমোদন প্রয়োজন। সেটি করলে ব্যয় সাশ্রয় হবে।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, প্রকল্পে বগি পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহে ২৫টি প্যাকেজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। ১৭টি লটে সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তি সই করা হয়েছে। আটটি লটের পুনঃদরপত্র আহবান করা হয়েছে। প্রকল্পের কোচ পুনর্বাসনের মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বছরে ৪০টি কোচ পুনর্বাসনের জন্য নির্ধারিত আছে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা