বেনাপোল (যশোর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪৫ পিএম
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৫৯ পিএম
ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমেছে। বিশেষ করে ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে যাত্রী যাতায়াত কমে যাওয়ায় এই খাতে রাজস্ব আদায়ে ধস নামতে শুরু করেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব আসে বেনাপোল দিয়ে ভারতে গমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের থেকে। ৫ আগস্টের আগে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ কোটি টাকার মতো রাজস্ব আয় হতো এই খাতে। বর্তমানে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারে রাজস্ব আদায় ৩ কোটিতে নেমে এসেছে। একই সময় আগে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজারেরও অধিক যাত্রী পার হতো এই পথে। বর্তমানে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় অর্ধেকে।
বর্তমানে বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী। আর ট্যুরিস্ট, বিজনেস, স্টুডেন্ট যাত্রীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
ভারতে চিকিৎসা করাতে আসা সবুজ হোসেন বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছি। বর্তমানে ভিসার খুব সমস্যা। আবেদনের দীর্ঘদিন পর কোনো রকম চিকিৎসার জন্য মেডিকেল ভিসা পেলেও ভ্রমণ ভিসা একদমই নেই। আগামী দিনে আর ভিসা পাব কি না সন্দেহ আছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পূর্বে ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী যাতায়াত করত। ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয় অ্যাম্বেসি ভিসা না দেওয়ায় যাত্রীসংখ্যা নেই বললেই চলে।