× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নিত্যপণ্য আমদানিতে ঋণসীমা থাকছে না

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮ পিএম

ড. আহসান এইচ মুনসুর।

ড. আহসান এইচ মুনসুর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, আসন্ন মাহে রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন ও একক ঋণসীমা উঠিয়ে দেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মূল্যস্ফীতি ও পণ্যের মূল্য নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা শুধু রোজায় সাময়িক সময়ের জন্য করা হবে। শুধু ছোলা, চিনি, গম, ভোজ্যতেলসহ ৪-৫টি পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। অন্য কোনো পণ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে না।’

গভর্নর বলেন, সাপ্লাই চেইন নিয়ে অনেক আলোচনা করা হয়েছে। আমরা প্রতিটা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে আলোচনা করেছি। এতে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের ডিউটি জিরো করে দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের।’

তিনি আরো বলেন, ‘এলসির মার্জিনতো আগেই উঠিয়ে দিয়েছিলাম। এখন আমরা আগামী রবিবার একটি সার্কুলার ইস্যু করব যে নিত্যপণ্যের ওপর যেন কোনো মার্জিন না দেওয়া হয়। আমরা উঠিয়ে দিয়েছিলাম ব্যাংকের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করব যাতে নিত্যপণ্যের ওপর আগামী রোজা পর্যন্ত এলসি মার্জিন চার্জ না করে। এটা একটা উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত এটা আমরা করব।’

একক ঋণসীমা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় বড় আমদানিকারক আছে যারা অনেক পণ্য আমদানি করে। তাদের সিঙ্গেল বড়োয়ার লিমিট (একক ঋণসীমা) একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা এড়ানো উচিত নয়, যা ব্যাংকের জন্য রিস্ক হয়ে যায়। এজন্য ব্যাংকের ক্যাপিটাল বাড়ানো উচিত, আমরা সেটা চেষ্টা করব। সেটা ব্যাংকিং খাত সংস্কারের মাধ্যমে করা হবে। তবে সাময়িকভাবে আগামী রোজাকে সামনে রেখে ব্যাংকের একক ঋণসীমা যেন কোনোভাবে সমস্যা না করে সেজন্য আমরা দুই তিন মাসের জন্য উঠিয়ে দেবো।’

আহসান এইচ মুনসুর বলেন, ‘আমরা ব্যাংকের একক ঋণসীমা আগামীতে কোনোভাবে ভায়োলেট হতে দেবো না। যাতে ব্যাংকগুলো কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ওপর না বাড়ায়। যেটা সাময়িকভাবে আমি মডিফাইড করছি। ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি এ সব পণ্য আমদানি ক্ষেত্রে এটা করা হবে।’

কোন কোন কোম্পানির জন্য আমদানিতে ঋণসীমা উঠিয়ে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করবে শুধু তারা, অন্য কেউ নয়। আমাদের ৫-৬টি বড় কোম্পানি আছে তারাই মূলত বাজারে পণ্য সরবরাহ ও নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন তারা চিনি, ভোজ্যতেল ও গম তারাই এগুলো সরবরাহ করে। এজন্য আমরা ৫-৬টি কোম্পানিকে সবসময় এঙ্গেজমেন্টে রাখা এবং বাজারের সঙ্গে তাদের দামের মনিটর করা হয়। যে কেউই আমদানি করতে পারবে। এতে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে যাতে ন্যাচারাল মনোপলি না করতে পারে।’

গভর্নর বলেন, ‘ধরুন আমি আপনি পণ্য আনলে এক থেকে ১০ হাজার টন পণ্য আনবো কিন্তু তারা ৭০ থেকে ৮০ হাজার টন পণ্য আনবে। তারা যে দামে কিনবে আপনারা জীবনে সে দামে কিনতে পারবেন না।’

সাপ্লাইচেইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চিনি, গম, ভোজ্যতেল এই পণ্যগুলো সাধারণত বড় বড় কোম্পানি আমদানি করে। আমরা প্রাইজ লেবেল কমাতে চাই না। এটা করলে ডিপ্রেশনে পড়ে যাবে যারা উৎপাদন করে তারা। আমাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমাদের ফরেন এক্সচেঞ্জের কোনো সমস্যা নেই।’

গভর্নর বলেন, ‘যে কেউ এলসি খুলতে পারবে। প্রাইজ লেবেল কমানো যাবে না, পৃথিবীর কোনো দেশেই সেটা করে না। তবে আমরা মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রাইজ কমিয়ে আনা চেষ্টা করবো। এটা করতে দুই তিন বছর লেগেই যায়।’ 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা