চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৫ পিএম
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২৫ পিএম
ইওয়ামা কিমিনরি।
চট্টগ্রামে বিদেশি বিনিয়োগ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি। তিনি বলেন, ‘স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে জাপান বাংলাদেশে ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা বিমানবন্দরের টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ করে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসেবে ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্টের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান সরকার।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম চেম্বারের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। চেম্বারের প্রশাসক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এরশাদ উল্লাহ, সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাহ্উদ্দীন কাসেম খান, জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গনাইজেশনের (জেটরো) ঢাকাস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ইউজি অ্যান্ডো, চট্টগ্রামস্থ জাপানের সাবেক অনারারি কনসাল জেনারেল নুরুল ইসলাম দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রাম বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক হাব। এখানে জাপানের অনেক খ্যাতনামা কোম্পানি রয়েছে। যারা ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে কাজ করছে। জাপান সব সময় দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ়করণে আগ্রহী। এর অংশ হিসেবে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে আমরা জি টু জি যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অংশীদার হিসেবে জাপানের সঙ্গে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। বাংলাদেশে এখন অনেকগুলো অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করছি, জাপানি বিনিয়োগকারীরা চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।’
জেটরোর ঢাকাস্থ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ ইউজি অ্যান্ডো বলেন, চট্টগ্রামে জাপানের অনেক ব্যবসায়ী রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট না থাকায় জাপানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি জাপানি বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যোগাযোগের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ব্যাংকক সরাসরি ফ্লাইট চালু করার বিষয়ে চিটাগাং চেম্বারের সহযোগিতা কামনা করেন।