চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৭ পিএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৮ পিএম
ভোগ্যপণ্য আমদানিতে সরকার কোনো ধরনের অনিয়মকে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান। তিনি বলেন, ভোগ্যপণ্য আমদানিতে সরকারের যা ভূমিকা থাকা দরকার, তাই করা হবে। তবে পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবে সরকার।
রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্যক্রম ও গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাকিব হাসান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পলাশ সরকার, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি মো. শাহবুদ্দীন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে সরাসরি অ্যাকশন নিলে অনেক ক্ষেত্রে, অসন্তোষ হয় অনেকেই। একই হয়ে আমরা সবাই ভোক্তাদের ফোকাস করে কাজ করি। তাহলে আর কেউ অসন্তোষ হবে না। কাজেই আমাদের একযোগে ভোগ্যপণ্যের দাম ঠিকঠাক রাখতে মাঠে কাজ করতে হবে।
আলীম আখতার খান বলেন, মুক্তবাজারের মাধ্যমে ভোক্তাদের পণ্যের মধ্যে যে চাহিদা রয়েছে, তার মধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে একটু সমস্যা রয়েছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ আনার ক্ষেত্রে সহজতর উপায় বের করতে হবে। এ ছাড়া সড়ক পথে পরিবহনের ভাড়া বেশি হলে বিকল্প হিসেবে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মালবাহী ট্রেনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হবে। রেলপথ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হবে।
তিনি বলেন, বন্দর সম্পর্কিত কিছু ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে জটিলতা আর ভোক্তাদের ভোগান্তি, মূল্যবৃদ্ধিতে সমস্যায় করণীয় বিষয়গুলো জানতে সরেজমিনে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখেছি, কিছু পণ্য আমদানির পরে নষ্ট হয়। আজকে বন্দর ও বিপণন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে কিছু সমস্যার কথা জানতে পেরেছি। এর মধ্যে কিছু সমস্যা সরকারকে অবহিত করা দরকার, তা জেনেছি। পাশাপাশি কিছু সমস্যা, যা স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভোগ্যপণ্যের বাজারে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, মজুদদারি, অতি মুনাফাÑ সেগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ভোগ্যপণ্যে যাতে কোনো ধরনের অনিয়ম না থাকে। এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান থাকবে কঠোর।