× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে জরিমানা : মেয়র আতিক

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০২ পিএম

আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২২ ১৬:৩১ পিএম

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ৮ম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন- ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি : প্রবা

শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ৮ম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন- ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি : প্রবা

বার বার বলার পরেও যদি ভবনগুলোতে ফায়ার সেফটি না থাকে তাদের জরিমানা করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন- ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র- বিআইসিসিতে আয়োজিত ৮ম আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপোর গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি ২০টি অফিস, স্কুল, কলেজ, শপিংমল, হাসপাতাল ভবন পরিদর্শন করবো। চেক করে দেখবো ওখানে ফায়ার সেফটি আছে কিনা? যদি না থাকে বলবো, তোমাদের সময় দিলাম। এই সময়ে যদি ফায়ার সেফটি না থাকে তাহলে ভবনগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বাসায় ডেঙ্গু থাকলে যদি ফাইন করতে পারি, রাস্তার রড থাকলে যদি ফাইন করতে পারি তাহলে ভবনে ফায়ার সেফটি না থাকলে কেন জরিমানা করতে পারবো না?’

নগরীর সরু সড়ক বড় করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘ছোট খাটো রোড বড় হচ্ছে। ২০ ফুট রোড হতে হবে, না হলে কোন ধরণের ফান্ড দেবে না। ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেতে যান সবাই ভবন ভাঙছে এবং রাস্তা বড় করছে। বড় রাস্তা না হলে আমরা সড়ক ঠিক করে দেবো না।’

পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি নিশ্চিত হয়েছে দাবি করে মেয়র আতিক বলেন, ‘আমি বিজিএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পরে রানা প্লাজায় বড় দূর্ঘটনা ঘটে। আমরা পোশাক কারখানাগুলোকে একটি সিস্টেমের মধ্যে এনেছি। আমরা যখন গার্মেন্টস শুরু করেছি তখন এটা ছিল না। আমরা পোশাক কারখানায় ফায়ার সেফটি ও বিল্ডিং সেফটি নিশ্চিত করছি। বিশ্বের ১০টি সবুজ কারখানার মধ্যে ৮টিই বাংলাদেশে। আমরা যদি গার্মেন্টসে ট্রান্সপারেন্সি করতে পারি তাহলে ঢাকা শহরকে কেন পারবো না। নাগরিকদের সচেতন করতে ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং প্রভাইড করছে সিটি করপোরেশন।’

অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মইন উদ্দিন বলেন, ‘অগ্নিকান্ডের খবর পেলে পুলিশের মাধ্যমে রাস্তা ক্লিয়ার করে আমরা মুভ করি। যেভাবে উন্নয়নশীল দেশ হচ্ছি তাতে করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ফায়ার সেফটির জন্য। আমি মনে করি সার্ভিসের সদস্যদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সেফটি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। শিশু বয়স থেকে ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিনিয়োগ করতে হবে। কারিকুলামে এ বিষয়ে শিক্ষা দিতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে প্রশিক্ষণাগার তৈরি করতে হবে।’ 

নগরবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, ‘ফায়ার সেফটির বিষয়ে সতর্কতা জরুরি। সচেতনতার জন্য রেগুলার ট্রেনিং দিতে হবে। সচেতন করার জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি এ বিষয়ে সরকারকে বাধ্য করতে। বর্তমানে ফায়ার সেফটির কোন বিকল্প নেই। শিল্প কারখানা রেগুলার মনিটরিং করতে হবে। সরকার বিষয়টি অনুধাবন করছে, বিডা (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদ্যোগ নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। সচেতনার জন্য ইনফোর্স করতে হবে। ফায়ার সেফটির বিষয়ে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। আমরা সবাই জানি আগুণ ধরার অন্যতম কারণ গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রতিবছর ইলেকট্রিক ও লিফট মেইনটেন করতে হয়।’

ইসাবের যুগ্ম সচিব জাকির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দেশকে ও দেশের পোশাক খাতকে আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচাতে চাই। প্রতিটা স্কুলে বাচ্চাদের এ বিষয়ে জ্ঞান দিতে চাই, সচেতন করতে চাই। প্রতিটা দেশেই কিন্তু বাচ্চাদের ফায়ার সেফটির বিষয়ে সচেতন করা হয় কিন্তু আমাদের দেশে শুরু হয়নি। সারাদেশে পুলিশ বাহিনির সদস্য ছড়িয়ে আছেন। ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদেও জন্য একটা শর্ট কোর্স করি তাহলে কোথাও ঘটনা ঘটলে তারা সবার আগে জেনে যাবে। এতে করে ফায়ার সেফটি নিশ্চিত হবে।’

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সেফটি মেজারের ক্ষেত্রে ল এনফোর্সমেন্ট জরুরি। প্রতিদিন ৫১৮টি নতুন গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন হচ্ছে। তারপরও আমরা যানজট নিরসনে কাজ করছি। কোন ফায়ার গাড়ি মুভ করলে আমরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকি। আমাদের কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির কোনো আইন নেই। আমাদের একটি আইন করা জরুরি।’ 

সিনিয়র সাংবাদিক প্রনব সাহা বলেন, ‘ফায়ার সেফটি নিয়ে আমাদের সচেতনতা কম। আর সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের কলকারখানা অধিদপ্তরের কাজ আরও স্বচ্ছ হতে হবে। ব্যাংককেও আমরা সচেতন করতে পারি। ঋণ দেওয়ার সময়ও খুঁজে দেখা উচিত সেই ভবনে ফায়ার সেফটি আছে কিনা। ফায়ার সেফটি না থাকলে ঋণ দেওয়া উচিত হবে না।’

গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ইসাবের সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর, মহাসচিব মাহমুদুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা