প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৯:২১ এএম
ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হয়েছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ডজন। গতকাল বুধবার কয়েকটি বাজারে তা কমে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিশেষ করে মহাখালী ও কারওয়ান বাজারে ডিমের দাম অন্যান্য বাজারের চেয়ে ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমতে দেখা গেছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদকদের পাঠানো খবরে জানা যায়, বিভাগ ও জেলা শহরগুলোতে সবজির দাম এখনও আগের মতোই রয়ে গেছে।
কীভাবে ডিমের দাম হঠাৎ কমতে শুরু করলো তা জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি হাজী মো. আমানত উল্লাহ গতকাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, করপোরেট কোম্পানিগুলো সরকারি দামে ডিম বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। আমরাও একশ ডিম ১ হাজার ২২০ থেকে ১ হাজার ২৩০ টাকায় বিক্রি করেছি। শুক্রবার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করা সম্ভব হবে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে কোম্পানিগুলো আমাদের কাছে প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৫৮ পয়সায় বিক্রি করবে, আমরা তা ১১ টাকা ১ পয়সায় বিক্রি করবো। আর খুচরা পর্যায়ে তা ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। এতে করে ৪৮ টাকা হালিতে ডিম কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
মহাখালী কাঁচাবাজারে গতকাল ঢেঁড়স, পটোল ও কচুরমুখি কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। টমেটো ৪০ টাকা কমে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১০ টাকা কমে চিচিঙ্গা ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজিতে ২২০ টাকা কমে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারটিতে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, করলা ১০০, উচ্ছে ১২০, গোল বড় বেগুন ১৮০ থেকে ২০০, সাদা গোল বেগুন ১৬০, লম্বা বেগুন ১২০, বরবটি ১২০, কাকরোল ১২০, দেশি আলু ৬০, ভারতীয় নতুন আলু ১৮০, ঝিঙা ১০০, ধুন্দল ১০০, মুলা ১০০, শসা ৮০ টাকা, ২০ টাকা কমে শিম ২৮০, প্রতিটি ফুলকপি ৭০ থেকে ৮০, বাধাকপি ৬০, গাজর ১৬০ ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আবার কাচকলা ৫০ টাকা হালি, প্রতিটি লাউ ৯০ থেকে ১০০, আটিতে ১০ টাকা বেড়ে লালশাক ৩০, পুঁইশাক ৫০, লাউশাক ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গতকাল প্রতি কেজি পটোল বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা, করলা ১৪০, মুলা ১২০, টমেটো ২৮০, বেগুন ১৪০, শিম ৩৫০, ঝিঙা ১৪০, পুঁইশাক ১ আঁটি ৬০ টাকা, ডাটা শাক ৩০ টাকা, মাঝারি মানের লাউ ১০০ টাকা।
কুমিল্লার নিমসার বাজারে আড়তদারদের দাবি
বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিবেদক জানান, সারাদেশে খুচরা ও পাইকারিতে শাক-সবজির অস্বাভাবিক দামের বিষয়টি সরবরাহে স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন কুমিল্লার নিমসার বাজরের আড়তদাররা। সরেজমিন দেখা গেছে, পাইকারি বাজার থেকে স্থানীয় বিক্রেতারা সবজি কিনে নিয়ে সেগুলো ২০ থেকে ৫০/৬০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ এই পাইকারি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে সবজি আসে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে শিম, রাজশাহী থেকে করলা, মেহেরপুর থেকে ফুলকপি, পাতা কপি, খাগড়াছড়ি থেকে কচুরমুখী, চুয়াডাঙ্গা থেকে পেঁপে, ভোলা থেকে শসা, রংপুর থেকে বরবটি, পঞ্চগড় থেকে চিচিঙ্গা, লালমনিরহাট থেকে বেগুন, যশোর থেকে পটোল, নাটোর থেকে শিম, কুষ্টিয়া, গাইবান্ধা, কক্সবাজার, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনার বিভিন্নস্থান থেকে আসা সবজি প্রচুর দেখা গেলেও একাধিক আড়ৎদার বা পাইকার দাবি করেন, এরপরও বাজারে সবজির সরবরাহ কম। একই সময় দেখা যায়, বাজারে স্থানীয় বিক্রেতারা তাদের উৎপাদিত পণ্যের দাম নিয়ে দরকষাকষি করছেন। জামাল হোসেন, বিল্লাল, সুমন মিয়া, আলমগীর, বাদশাসহ একাধিক স্থানীয় কৃষকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় বাজারে পণ্য কম আসছে, তবে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন শাক-সবজি ভালোই আসছে। এদিন নিমসার বাজারে কেজি প্রতি শিম ২০০ টাকা, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০, বেগুন ৭০ থেকে ৮০, করলা ৭০, উচ্ছে ৯০, ফুলকপি ১২০, মিষ্টি কুমড়া ৫০, পটোল ৬০, পেঁপে ৩০, শসা ৫০, মুলা ৪০, টমেটো ১৬০, গাজর ১৫০, বরবটি ৭০, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
সিলেটে দিশেহারা ক্রেতারা
সিলেট অফিস জানায়, সিলেটের বাজারে গত এক সপ্তাহে সবজির দাম এতটাই বেড়েছে যে, ১০০ টাকার নিচে কোনো সবজি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। গতকাল নগরীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩৭০ থেকে ৩৮০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, যা ছিলো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, শিম ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, তাল বেগুন ৮০ টাকা, ঝিঙা, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও ফুলকপি ১২০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া জালি ছোট কুমড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা ও লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপরও কি কারণে দাম বাড়ছে তা খুঁজে বের করতে নগরীর পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
ডিম মরিচ আলু আমদানির প্রভাব নেই খুলনায়
খুলনা অফিস জানায়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধ্বগতিতে চরম অস্বস্তিতে রয়েছে খুলনার সাধারণ মানুষ। মরিচ, আলু, ডিম আমদানি হলেও বাজারে তার প্রভাব নেই। সবজির দামও গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া আলু, পিঁয়াজ, আদা ও রসুন কিনতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। সরকার র্নিধারিত দামে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না ডিম।
গতকাল খুলনার প্রধান পাইকারী বাজার সোনাডাঙ্গা ট্রাকষ্ট্যান্ড সংলগ্ন পাইকারী বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের উর্ধ্বগতির চিত্র দেখা গেছে। বাজারটির ব্যবসায়ী আব্দুল হক জানান, প্রতি কেজি আলু মানভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, রসুন ২১০ থেকে ২৩০টাকা, পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০টাকা, আদা ১৪০ থেকে ১৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহের আগের তুলনায় প্রতিটি জিনিসে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা।
কাঁচা মাল ব্যবসায়ী আ. হান্নান শেখ জানান, প্রতি কেজি বরবটি ১১০ থেকে ১২০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ফুলকপি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, টমেটো ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কচুর লতি ৭০টাকা, কাকরোল ৭০টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, শশা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বরিশালে সবজির বাজার অস্থির
বরিশাল প্রতিবেদক জানান, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করলেও খুচরা বাজারে তার প্রভাব নেই। দুদিন ধরে প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পাইকারি বাজারে কাচামরিচের দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্যান্য সবজির দরও চড়া বলে জানিয়েছেন পাইকারি ও খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় এমনকি দু-দিন আগেও ৩০০ টাকার নিচে যে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে, সেখানে এখন প্রকারভেদে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে শ্রমিক ও পরিবহন খরচা মিটিয়ে এ মরিচের দাম সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হওয়াটা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, ছোট সাইজের বেগুন পাইকারি বাজারে পাওয়া গেলেও তা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একটু ভালো মানের বেগুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বরবটি ১ শত টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, রেখা ৫০-৬০ টাকা, গাডি কচু ৪০-৫০টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৬০-৬৫ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫০ টাকা, টমেটো ১৬০-১৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫৫-৬০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, কাকরোল ৮০-৯০ টাকা, সিম ২৩০-২৪০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১শত থেকে দেড়শত টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে। আর লাউ পিস প্রতি আকার ভেদে ৫০-৬০, বোম্বাই মরিচ শত প্রতি ৭ থেকে ৮ শত টাকা, লেবু পোন (৮০ পিস) ২০০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
বগুড়ায় সবজির সরবরাহ বাড়ছে, কমছে দামও
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার মহাস্থানে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা কমতে শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে ওই হাটে মোট ১২ ধরনের সবজির কেনা-বেচা পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর আগে গত ৮ অক্টোবর ওই একই হাটের সবজির বাজার পর্যবেক্ষণ করা হয়। গত সপ্তাহে ওই হাটে দেশি কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বুধবার দেশি কোন মরিচের দেখা মেলেনি। অন্যান্য জেলা এবং ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ ২৫০ টাকা দরে কেনাবেচা হয়েছে।
সবজিগুলোর মধ্যে কৃষক পর্যায়ে ৫টির দাম কমেছে। বাকি ৭ প্রকারের সবজির মধ্যে ৩টির দাম অপরিবর্তি রয়েছে এবং অন্য ৪টির বেড়েছে। অন্যদিকে আড়তে কমেছে ৭ ধরনের সবজির দাম। বাকি ৫ প্রকার সবজির মধ্যে ২টির অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ৩টির বেড়েছে। কৃষক এবং আড়ৎ মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে বলেই দামের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। তারা বলছেন ৮/১০ দিনের মধ্যে সরবরাহ আরও বাড়লে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে।
কৃষক পর্যায়ে যে ৫ ধরনের সবজির দাম কমেছে সেগুলো হলোÑ পটোল, মুলা, ঢেঁড়স, তরী এবং লাউ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পটোলের মূল্য প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে গতকাল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে মুলার দাম প্রতি কেজিতে ৫ টাকা কমে যথাক্রমে ২৫ টাকায় হয়েছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউয়ের মূল্যও ১০ টাকা কমে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কৃষক পর্যায়ে যে ৩ ধরনের সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে সেগুলো হলোÑ করোলা (প্রতি কেজি ৬০ টাকা), কাকরোল (৫৫ টাকা) ও মিষ্টি কুমড়া (৪৫ টাকা)। এছাড়া যে ৪ ধরনের সবজির দাম বেড়েছে তার মধ্যে বেগুন প্রতি কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, পেঁপে কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মহাস্থান হাটের পাইকারি আড়ৎদার সফুরা ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় আবাদ নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গিয়ে দাম উর্ধ্বমুখী হয়েছিল। এখন বাজারে আবার সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। পাশের বিশাল ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী তাহেরুল ইসলাম বলেন, যদি আগামীতে আর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে ৮/১০ দিনের মধ্যে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করবে।