লাউয়াছড়ায় পর্যটকের ঢল
সাদিকুর রহমান সামু, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩২ পিএম
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৭ পিএম
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। শনিবার দুপুরে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে তোলা ছবি। প্রবা ফটো
শারদীয় দুর্গাপূজার টানা ছুটিতে মৌলভীবাজারের
কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। একই সঙ্গে উপজেলার মাধবপুর লেক,
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, জলকন্যা হামহাম জলপ্রপাত ও চা-বাগান এলাকায়
পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। এদিকে গত তিন দিনে লাউয়াছড়ায় পর্যটকের প্রবেশ টিকিট বাবদ সরকারের
আড়াই লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
লাউয়াছড়া টিকিট কাউন্টার সূত্রে জানা যায়,
দুর্গাপূজার ছুটির প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৩৬ জন পর্যটক প্রবেশ
করে। এতে ওই দিন রাজস্ব আয় হয়েছে ৫০ হাজার ৪৮৫ টাকা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার লাউয়াছড়ায়
৮৬৭ জন পর্যটক প্রবেশ করে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৪২ টাকা। শনিবার (১২অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন পর্যটক প্রবেশ করায় দেড় লাখ টাকার বেশি রাজস্ব
আয় হয়। টানা চার দিনের ছুটির তিন দিনেই লাউয়াছড়ায় প্রবেশমূল্য বাবদ আড়াই লাখ টাকার
বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে লাউয়াছড়ায় দেখা যায়,
উদ্যানে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পর্যটকরা বনের ভেতর প্রবেশ করে ঘোরাফেরা করছে। অনেকে দলবেঁধে
ঘুরছে, ছবি তুলছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন ধরে টিকিট কেনা চলছে। পর্যটকদের
নিরাপত্তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছে বনের ভেতরের রেললাইন ও বাইরের
ফটক এলাকায়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সুমন রায়, সিলেটের রাফি
আহমেদ ও নেত্রকোণার আরাফাত হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি থাকায় প্রথম দিন কেউ বাইরে বের হইনি।
শ্রীমঙ্গল শহরে রাতে সামান্য ঘোরাঘুরি করেছি। শনিবার বৃষ্টি না থাকায় চলে এসেছি প্রকৃতির
রূপকে উপভোগ করতে। এর আগেও আসা হয়েছে লাউয়াছড়া উদ্যানে।’
লাউয়াছড়ার টিকিট কালেক্টর শাহীন আহমেদ বলেন,
‘বেশ কিছু দিন ধরে লাউয়াছড়ায় তেমন পর্যটক আসেনি। তবে পূজার টানা ছুটিতে প্রচুর পর্যটকের
আগমন হয়েছে। রবিবার (আজ) পর্যন্ত প্রচুর পর্যটক আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’
লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন,
‘পূজার টানা ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে লাউয়াছড়ায়। তিন দিনে পর্যটকদের প্রবেশমূল্য
বাবদ আড়াই লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট
পুলিশের পাশাপাশি বন বিভাগের সদস্যরাও কাজ করছে।’