প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৮ পিএম
টাস্কফোর্স কমিটির সভাপতি ও বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক ড. কে এ এস মুর্শিদ বলেছেন, আমরা সবকিছুই হয়তো করতে পারবো না। তবে অর্থনীতির যেসব জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত আপনারা সবাই জানেন। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করবো। উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্যার আমাদেরকে কাজের পরিধি, কৌশল ও গুরুত্বেও জায়গাগুলো সম্পর্কে ধরণা দিয়েছেন। আমরা আগামী বৈঠক থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কাজ শুরু করবো।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলাদেশ নগরের পরিকল্পনা কমিশনে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত টাস্কফোর্স এর প্রথম সভা শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন যে জায়গায় আছে আমরা চেষ্টা করবো সেখান থেকে কিভাবে গো অন করে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা যায়। সেই সঙ্গে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কৃষি, শিল্প উৎপাদন, বাণিজ্য এবং উন্নয়ন প্রকল্পসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে।
বিআইডিএসের সাবেক এই মহাপরিচালক বলেন, আমরা স্বল্প মেয়াদে সরকারকে পরিকল্পনা দিব। যাতে আগামী ১ বা ২ বছরের মধ্যে একটা ফলাফল দেখা যায়। আমাদের পরিকল্পনা পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার পরিবর্তে কিংবা সেখানে রিপ্লেস করা নয়। এটা স্বতন্ত্র পরিকল্পনা হবে। তবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার বিষয়েও আমরা পরামর্শ দেব।
তিনি আরও বলেন, বিষয়গুলো চিহ্নিত হয়ে আছে। যেমন সুশাসনের যেন সব স্থানে ঘাটতি আছে; সেগুলো তুলে ধরে লিকেজ বন্ধের পরিকল্পনা দেওয়া হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের সাবেক গবেষণা বিভাগের প্রধান ড. আবদুর রাজ্জাক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, ঢাবির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নাসিম মনজুর, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মনজুর হোসেন, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, বিডিজবসের এ কে এম ফাহিম মাশরুর, টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও জিইডি সচিব ড. মো. কাউসার আহাম্মদ। এছাড়াও ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন, কমিটির সদস্য ড. আখতার মাহমুদ ও ড. মুশফিক মোবারক।
বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের (রি-স্ট্র্যাটেজাইসিং দ্য ইকোনমি অ্যান্ড মোবাইলাইজিং রিসোর্স ফর ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট) প্রতিবেদন প্রণয়ন এবং একটি ন্যায্য, টেকসই ও গতিশীল অর্থনীতির ভিত্তি তৈরির লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।