× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

রবিবার থেকে ধার নিতে পারবে সংকটে থাকা পাঁচ ব্যাংক

রেদওয়ানুল হক

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৪১ পিএম

বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো তুলনামূলক ভালো ব্যাংক থেকে ধার পাবে। আগামী রবিবার থেকেই এ প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে ব্যাংকগুলো।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)  বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছে সংকটে থাকা ৫ ব্যাংক। এখন অতিরিক্ত তারল্য থাকা কোন ব্যাংককে রাজি করাতে পারলেই টাকা পেতে আর কোন সমস্যা নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

জানা গেছে, আমানত বা প্লেসমেন্ট হিসেবে দুর্বল ব্যাংকে এ অর্থ রাখবে ভালো ব্যাংক। এর জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, ইউনিয়ন ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। এখন চুক্তিপত্রের বিপরীতে এসব ব্যাংক নির্ধারিত মেয়াদে বিশেষ ধার পাবে। তবে কোন সবল ব্যাংককে রাজি করাতে হবে। তখন ওই ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি সাপেক্ষে ঋণ দেবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্মতি জানিয়ে পাঁচ ব্যাংককে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাওয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করে ব্যাংকগুলো। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘পাঁচটি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের চুক্তি হয়ে গেছে। এখন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওপর নির্ভর করবে তারা কবে নাগাদ অর্থ নিতে পারবে বা দেবে। আর কে কত টাকা নিতে পারবে তাও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঠিক করবে।’

দুর্বল ব্যাংকগুলোর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনের পর এখন তারা উদ্বৃত্ত তারল্য আছে এমন ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবে। কোন ব্যাংক রাজি হলে তখন দাতা ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি চাইবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দিলে টাকা ছাড় করবে।

কবে নাগাদ টাকা পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, মো. ফরিদউদ্দীন আহমদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের চাওয়া সব কাগজপত্র আমরা জমা দিয়েছি। এখন সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করব। কেউ রাজি হলেই আমরা টাকা নিতে পারব। তবে কবে নাগাদ পাব তা বলতে পারছি না। কেউ যদি দিতে রাজি হয় তবে রবিবারই পাব। কিন্তু না দিলে দেরি হবে।’

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। এগুলোসহ মোট ১১টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে ৮টি ব্যাংক এস আলমের দখলে ছিল। নামে-বেনামে ব্যাংকগুলো থেকে বিপুল অঙ্কের ঋণ নিয়ে পাচারের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা। এ অবস্থায় সাময়িক সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর দুর্বল ব্যাংকের কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডিমান্ড প্রমিসরি (ডিপি) নোট নিয়ে রাখবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, কোনো ব্যাংক সংকটে পড়লে সাধারণভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ ধার দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক ধার দেওয়া মানে সরাসরি টাকা ছাপানোর মতো। এতে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়ে। এমনিতেই এখন উচ্চ মূল্যস্ফীতি রয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি টাকা না দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ধারের ব্যবস্থা করছে। এর মানে, বাজারের টাকা এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে যাবে। ফলে মূল্যস্ফীতির ওপর বাড়তি প্রভাব পড়বে না। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টির মানে হলো, কোনো কারণে এসব ব্যাংক ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই টাকা দেবে।

জানা যায়, নগদ টাকার সংকট মেটাতে বিশেষ ধার চেয়ে আবেদন করেছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক। গত ৩ আগস্ট এক্সিম ব্যাংককে তিন মাসের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বিশেষ ধার দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাড়ে ১০ শতাংশ সুদে ওই অর্থ দেওয়া হয়। এই ব্যাংককে এখনই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। আর ইসলামী ব্যাংকের নগদ প্রবাহ ভালো থাকায় আপাতত বিশেষ ধার না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বেশ আগ থেকে সমস্যাগ্রস্ত পদ্মা ব্যাংকের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক যে ১১টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে, এগুলোসহ কয়েকটি থেকে টাকা তোলার ব্যাপক চাপ তৈরি হয়েছে। আতঙ্কে আমানতকারীদের অনেকে টাকা নিয়ে ভালো ব্যাংকে জমা করছেন। এ কারণে কিছু ব্যাংক চরম সংকটে পড়ছে। আবার কিছু ব্যাংকে প্রচুর উদ্বৃত্ত রয়েছে। মূলত উদ্বৃত্ত থাকা ব্যাংকই সংকটে পড়া ব্যাংককে টাকার ব্যবস্থা করবে।


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা