মোংলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:১৩ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:২৫ পিএম
মোংলা বন্দরে আমদানি করা গাড়ি। প্রবা ফটো
নিলামে তোলা হচ্ছে বিদেশ থেকে মোংলা বন্দরে আমদানি হওয়া ৪০টি রিকন্ডিশন গাড়ি। নিলামে অংশ নিতে আগামী সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মোংলা কাস্টম হাউস, খুলনা ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট এবং চট্টগ্রাম ভ্যাট কমিশনারেট শিডিউল জমা দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশ কাস্টমসের ই-অকশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করে বিড করা যাবে। আগামী (২৯ সেপ্টেম্বর) নিলামে অংশগ্রহকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতার নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আমদানি হওয়া গাড়ি ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে ছাড় করানোর নিয়ম থাকলেও আমদানিকারকরা তা করেননি। তাই কাস্টমসের নিয়মানুযায়ী গাড়িগুলো পর্যায়ক্রমে নিলামে তোলা হচ্ছে।
এই তথ্য জানিয়ে মোংলা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রুবেল হাসান বলেন, ‘নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে রয়েছে- হাইয়েচ,ডাম্প ট্রাক, মাইক্রোসহ বিভিন্ন গাড়ি। আমদানির পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাড় না হওয়ায় মোংলা কাস্টম হাউস গাড়িগুলো বিক্রির জন্য নিলামে তুলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সর্বশেষ নিলামে তোলা হয় ১৯টি বিলাসবহুল নামিদামি গাড়ি। সে সময় নিলামে ওঠা গাড়ির মধ্যে ছিল- পাজারো, এক্সিও, হাইব্রিড, টয়োটা ভিজ, প্রোবক্স, অ্যাকোয়া হাইব্রিড, মাইক্রোসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের গাড়ি। এর মধ্যে ১০টি গাড়ির বিক্রির আদেশ দেওয়া হয়।
মোংলা কাস্টমস সূত্র জানায়, মোংলা কাস্টম হাউসের রাজস্ব আয়ের ৫২ শতাংশ আসে আমদানি করা গাড়ির শুল্ক থেকে। দীর্ঘদিন আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পড়ে থাকলে শুল্ক আদায় ব্যহত হয়। নিলাম প্রক্রিয়া চালু রাখলে গাড়ি বা অন্যান্য পণ্য রাখতে ব্যবসায়ীদের সুবিধার পাশাপাশি সঠিক সময় সরকারের রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৩ জুন হকস বে অটোমোবাইল কোম্পানি প্রথম ২৫৫টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানির মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে গাড়ি রাখার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই বন্দরে জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮৫১টি রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়। এর মধ্যে এক লাখ ৮৬ হাজার ৯২৪টি গাড়ি খালাস করা হয়েছে। বাকি ১ হাজার ৯২৭টি গাড়ি মোংলা বন্দর জেটির বিভিন্ন ইয়ার্ডে রাখা আছে।