× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সংকটে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩৮ পিএম

আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৫ পিএম

ফাইল ফটো

ফাইল ফটো

চলতি বছরের অর্থনৈতিক সংকটের চিত্র ফুটে উঠেছে সরকারি প্রকল্পগুলোতে। বার্ষিক উন্নয়ন বাজেট (এডিপি) বাস্তবায়নের হার পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন । চলতি অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত পাঁচ অর্থবছরের একই সময়ে তুলনায় এটি সবচেয়ে কম। সোমবার বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ণ বিভাগের (আইএমইডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে এ তথ্য।

আইএমইডির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই থেকে অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ হাজার ৩৫৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার। এ বছর এডিপিতে বরাদ্দ ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ বরাদ্দের তুলনায় বাস্তবায়ন মাত্র ১২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত পাঁচ অর্থবছরের হিসেবে এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন ছিল সবচেয়ে কম, ১২ দশমিক ৭৯ শতাংশে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিলো সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এছাড়া একক মাস হিসেবে শুধু অক্টোবরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ করেছে ১০ হাজার ৪৬২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বাস্তবায়নের হার ৪ দশমিক শুন্য ৯ শতাংশ। এর আগের বছরের অক্টোবরে বাস্তবায়ন ছিলো ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।

এ বছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মোট প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৬টি। এর মধ্যে মূল প্রকল্প ১ হাজার ৪৪১টি, উপ-প্রকল্প ৪৬টি এবং উন্নয়ন সহায়তা থোক ৯টি। এ প্রকল্পগুলোর মধ্যে কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১০৬টি, বিনিয়োগ প্রকল্প ১ হাজার ২৯৬টি।

মন্ত্রণালয়গুলোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চার মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫২টি প্রকল্পে ১ শতাংশও খরচ করতে পারেনি। এর মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও খরচের খাতাই খুলতে পারেনি। এ মন্ত্রণালয়ের ৭ প্রকল্পে ১০১ কোটি ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। অবশ্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তাদের বরাদ্দের প্রায় সবটুকুই চার মাসে খরচ করে ফেলেছে। এ মন্ত্রণালয়ের জন্য চলতি বছরের এডিপি বরাদ্দ ২১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। খরচ করেছে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। অর্থাৎ এডিপি বাস্তবায়নের হার ৯৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের খরচ চার মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। চার মাসে এ বিভাগের বাস্তবায়নের হার ৫৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এদিকে ব্যয় কম হওয়ার পিছনে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ব্যয়সাশ্রয়ী নীতিকে দায়ী করছেন অনেকে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন, জরুরি না হলে বিদেশ সফর ও গাড়ি কেনা বন্ধ, আসবাব কেনায় আরও সাশ্রয়ী হওয়াসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর প্রতিফলন পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে।

দেশের অর্থনীতিতে চাপের পরিস্থিতিতে সরকার সম্প্রতি প্রকল্পগুলোকে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ শ্রেণিতে ভাগ করেছে। ‘এ’ শ্রেণির প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মানে, চলতি এডিপিতে যা বরাদ্দ আছে, তা পুরোটাই খরচ করত হবে। ‘বি’ শ্রেণিতে থাকা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দ (দেশজ উৎসের অর্থ) ২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।

‘সি’ শ্রেণির প্রকল্পকে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘এ’ শ্রেণিতে ৬৪৬টি প্রকল্প, ‘বি’ শ্রেণিতে ৬৩৬টি প্রকল্প এবং ‘সি’ শ্রেণিতে ৮১টি প্রকল্প রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি প্রকল্প কোনো শ্রেণিতে রাখা হয়নি।

এডিপি বাস্তবায়ন কম হওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, স্বাভাবিকভাবে প্রতি অর্থবছরের শুরুতেই আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নে কিছুটা ধীরগতি থাকে। তবে এবার গত বছরের তুলনায় এডিবি বাস্তবায়ন বেশি হয়েছে। কিছু সাধন নীতির কারণেও ব্যয় কিছুটা কম হয়েছে। তবে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ।

অর্থবছরের শুরুতে কাজ কম হওয়ার বিষয়ে সাবেক আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, অর্থবছরের শুরুতে সাধারণত প্রকল্পের সারা বছরের কাজের পরিকল্পনা নিতে হয়। বিভিন্ন ধরনের পেপারওয়ার্ক থাকে। টেন্ডারের বিষয় থাকে, ক্রয় প্রস্তুতির বিষয় থাকে। এসব কাজে তো তেমন অর্থ খরচ হয় না। এসব কারণে অর্থবছরের শুরুতে কাজ হলেও অর্থ ব্যয় না হওয়ায় এডিপি বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা যায়। তবে এবার দেখবেন প্রথম প্রান্তিকের পর প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগোবে।

এডিপি বাস্তবায়নের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আগে থেকে প্রস্তুতি না নিয়ে বাজেট পাস হওয়ার জন্য বসে থাকে বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো। বাজেট পাসের পর বিভিন্ন পেপারওয়ার্ক, টেন্ডারিং, অনুমোদন এসব করতেই বছরের অর্ধেক চলে যায়। তারপর দেখা যায় বছরের শেষে তাড়াহুড়ো করে কাজ করে। তখন দেখা যায় কাজের মান খারাপ হয়, তদারকি থাকে না। ফলে ব্রিজ করলে দেখা যায় তিন মাস পরই ভেঙে পড়ে। রাস্তা করলে দুই মাস পর ঢালাই উঠে যায়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা