প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ২২:০৪ পিএম
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে আবেদন করেছেন ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহকরা ও কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১৮ আগষ্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় উপস্থিত হয়ে আবেদন জমা দেন কয়েকজন শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহক। এর আগে কয়েকজন কর্মকর্তা একই আবেদন জমা দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ব্যাংকের তহবিল লুটপাটের যে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, বাস্তব অবস্থা এর চেয়েও জঘন্য। দীর্ঘদিন লুটপাটের ধারা অব্যাহত থাকার কারণে ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির প্রতি গণমানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। এ জন্য তাঁরা দ্রুত পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।
৮১ জন গ্রাহকের পক্ষে আবেদন করেন সৈয়দ মেজবাহ উদ্দীন। এতে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি দেশের সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক। আড়াই কোটি গ্রাহকের এ ব্যাংকটি দীর্ঘদিন যাবৎ আপামর জনগণের আস্থার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে সেবা দিয়ে আসছিল। তাই, ইসলামী ব্যাংকের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল শেয়ারহোল্ডার তথা স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার পাশাপাশি দেশের শক্তিশালী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন ৪৭ ধারা মোতাবেক ব্যাংকের বর্তমান দুর্নীতিগ্রস্ত পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়া জরুরি। জাতীয় স্বার্থেই যোগ্য, সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে অথবা সাবেক পরিচালকদের মধ্য হতে কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়ে বোর্ড পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিবেন বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আপনার দ্রুত পদক্ষেপের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।
অপর এক চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের আইপিওর শেয়ারহোল্ডার ড. এম কামাল উদ্দীম জসীম উল্লেখ করেন, প্রতি বছর প্রায় ডজন খানেক আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হতো এ ব্যাংক। তাছাড়া বাংলাদেশের এক মাত্র ব্যাংক, যা একাধারে বিগত ১২ বছর যাবৎ যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিন ‘দি ব্যাংকার’ কর্তৃক বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় স্থান লাভ করে আসছিল।
আবেদনে বলা হয়, ইসলামী ব্যাংকের হৃত গৌরব পুনরুদ্ধার, ব্যাংকের সকল শেয়ার হোল্ডার তথা স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষা, তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য বোর্ড পুনর্গঠন করতে হবে। সাবেক পরিচালকদের সমন্বয়ে বোর্ড গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন ব্যাংকটির শতাধিক কর্মকর্তা।