প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩১ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১৬:৩৩ পিএম
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছে সিপিডি। একই সঙ্গে নতুন করে রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। রবিবার (১৮ আগস্ট) ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার সিপিডি’র প্রস্তাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে এলএনজি ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে এসে নবায়ন যোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে অগ্রসর হতে হবে। এডিপিতে এলএনজি সংশ্লিষ্ট যেসব প্রকল্প রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।’
বিদ্যুতের দাম কমানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দরপত্রের ক্ষেত্রে আমরা সঠিক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পারি না। ফলে বাড়তি দরের দরপত্রদাতাদের কাছেই কাজ দিয়ে দিতে হয়। এই বাড়তি বিডিংয়ের কারণে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বেড়ে যায়। এছাড়া ভাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (রেন্টাল) সঙ্গে এমনভাবে চুক্তি হয়েছে যে তারা বিদ্যুৎ না দিলেও পে করতে হচ্ছে। ফলে ভর্তুকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পে অনুযায়ী, চুক্তি সংশোধন করলে, ভর্তুকির চাপ কমবে। গ্রাহককে বাড়তি দাম দিতে হবে না বলেও আমরা মনে করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব কাজ এই মূহুর্তেই সম্ভব না। আমরা বলছি না এখনই করার। তবে সামনে থেকে যেন নতুন চুক্তি না হয় এবং নবায়ন করা না হয় সেটাই চায় সিপিডি।’
গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে। টেকসই জ্বালানি রূপান্তরে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে জোর দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে ২৭ হাজার মেগাওয়াট, রিজার্ভ মার্জিনসহ ৩৫ হাজার মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকতে পারে। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ৫৮ হাজার মেগাওয়াট ধরা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা, যা অযৌক্তিক। তাই এটার সংশোধন দরকার বলে আমরা মনে করছি।
এছাড়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আরপিজিসিএলসহ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গত কয়েক বছরের আর্থিক প্রতিবেদন আবারও নিরীক্ষা করতে হবে।