প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৫৫ পিএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৪ ১৪:০০ পিএম
সিপিডির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃহীত
সেন্ট্রাল ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, অনেক ব্যাংক এখন ক্লিনিক্যালি ডেথ, প্রণোদনা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থাকা ব্যাংকগুলোকে বন্ধ করে দিতে হবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে এবং সময়মতো তথ্যের সততা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১২ আগস্ট) ‘ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনে এ কথা বলেন তিনি।
মৃতপ্রায় ব্যাংকগুলোর বর্তমান ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালক পর্ষদে বদল করার পরামর্শ দেয় সিপিডি। সংবাদ সম্মেলনে মৃতপ্রায় ও ক্লিনিক্যালি ডেথ হওয়া ব্যাংকের সংখ্যা না জানালেও ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর ২০২১ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী ১১টি ব্যাংক আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ব্যাসেল নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকগুলো ক্লিনিক্যালি ডেথ হয়ে গেছে। এক সময়ে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ ভালো ব্যাংক ছিল। এটিকে দখলের পরে মুমূর্ষু হয়ে গেছে।’
স্বাধীনতার পরে দেশের অর্থনীতি অনেক খারাপ ছিল। তখন দেশের ব্যাংক খাত অর্থনীতি সাজাতে এগিয়ে এসেছে, উদ্যোক্তা তৈরি, অর্থায়ন করেছে। ব্যাংক খাত শিল্পায়নে ভূমিকা রাখায় আজকে অনেক বড় বড় গ্রুপের জন্ম হয়েছে।
এসব বড় বড় গ্রুপ অর্থনীতিতে ভূমিক রাখছে জানিয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘দেশের ব্যাংক খাত এখন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর প্রসারে কাজ করছে। গুটি কয়েক গোষ্ঠীর কারণে নিয়ম-নীতি করা হচ্ছে।’
পুরো ব্যাংক খাত এখন নিয়ম নীতির বাহিরে চলে গিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক তার স্বাধীনতার চর্চার জায়গার পুরোটা হারিয়েছে। গত এক দশকের বেশি সময়ে ব্যাংকিং খাতে ২৪টি বড় ধরনের ‘স্ক্যাম’ হয়েছে, যাতে ৯২ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণের কেলেঙ্কারি হয়েছে।
ব্যাংকিং খাতের সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানে তিন মাসের জন্য জন্য ব্যাংকিং কমিশন গঠন করার সুপারিশ করে সংস্থাটি বলেছে, ব্যাংক খাতে দ্বৈত প্রশাসন কমাতে অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করতে হবে। এ বিভাগের জন্য সরকারি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে নেই।
সিপিডির সম্মানিয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ব্যাংকিং খাতের দুষ্টু চক্র ভেঙে ফেলতে হলে ব্যাংক কমিশন গঠন করা প্রয়োজন।
সিপিডির তথ্য অনুযায়ী, আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশ বা জিডিপির দুই শতাংশের সমান।