× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চিহ্নিত ১০ দুর্বল ব্যাংককে নিবিড় তত্ত্বাবধান করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক : গভর্নর

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২২ ১৯:০২ পিএম

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২২ ১৯:১৯ পিএম

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি প্রবা

বৃহস্পতিবার এক সাংবাদ সম্মেলনে নানা প্রশ্নের জবাব দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি প্রবা

শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধনের পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত ও প্রভিশনিং বা নিরাপত্তা স‌ঞ্চি‌তির পরিমাণ বিবেচনায় নিয়ে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ব্যাংকগুলোকে নিবিড় তত্ত্বাবধান করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ তথ্য জানান। তবে কোন কোন ১০টি ব্যাংককে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানানো হয়নি।

গভর্নর জানান, ব্যাংকের ওপর গ্রাহকদের অনাস্থা তৈরি হওয়ার আগেই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চাহিদা নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বৃদ্ধিসহ বাজার স্থিতিশীল রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী সাইদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাসের, একেএম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাস, নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান, মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদসহ আরও অনেকে।

দেশের বেশিরভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। ব্যাংকিং খাতেও এ রকম অবস্থা তৈরি হলে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে গভর্নর বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর অনাস্থার বিষয়টি সবারই জানা। সেসব প্রতিষ্ঠানের মতো অবস্থা যাতে ব্যাংকেও তৈরি না হয়, সেজন্য তুলনামূলক দুর্বল ১০টি ব্যাংককে নিবিড় তত্ত্বাবধান করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেসব ব্যাংকের চারটি চলক যেমন : শ্রেণিকৃত ঋণের মাত্রা, মূলধন পর্যাপ্ততা, ঋণ-আমানত অনুপাত এবং প্রভিশনের পরিমাণ কম তাদের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করা হয়েছে। দুর্বল চিহ্নিত ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বা মুখোমুখি আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করা হবে। এই সমাধানের অংশ হিসেবে তিন বছর মেয়াদি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেবেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাদের কার্যক্রমগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবেন।

তিনি বলেন, আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি। এই সমস্যার সমাধানে ইতোমধ্যেই আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং তার ফলাফল পেতে শুরু করেছি। দুয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

কারণ হিসেবে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ইতোমধ্যেই নীতি সহায়তার কারণে রেমিট্যান্স বাড়তে শুরু করেছে। পাশাপাশি কমে এসেছে আমদানির হার। বাজারে মুদ্রা সরবরাহ করার জন্য গঠন করা হয়েছে বেশ কিছু পুনঃঅর্থায়ন স্কিম। এসব সূচকের ওপর ভিত্তি করে শিগগিরই অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

টাকা পাচার নিয়ে প্রশ্ন করলে সাংবাদিকদের তিনি জানান, আন্ডার ইনভয়েসিং এবং ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বড় ধরনের অনিয়ম চিহ্নিত হলে বাংলাদেশ ব্যাংক অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি আরও বলেন, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই খোলাবাজারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। কোনো ব্যাংকে এ ধরনের সমস্যা থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে একটি কী নোট পেপার উপস্থাপন করেন প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ঋণ ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকসমূহের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এই সার্কুলারে বর্ণিত শর্ত মোতাবেক ব্যাংকগুলো ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। যা আগে অনেকটা অস্বচ্ছ এবং অসমভাবে করা হতো।

প্রবা/রনি/ জেআই

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা