প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪ ০৯:৫৩ এএম
ছবি : সংগৃহীত
আগামী জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকা ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বিনা প্রশ্নে বৈধ বা সাদা করা যাবে। একইভাবে জমি, ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট কিনেও এলাকাভেদে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে টাকা সাদা করা যাবে। একেক এলাকার জন্য বর্গফুট অনুসারে নির্দিষ্ট কর দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানির কিছু অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ দেখানোর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে এই অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির অপ্রদর্শিত সম্পদ নির্দিষ্ট হারে কর দিয়েও বৈধ করার সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
দুই বছর আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে এ সুযোগ বাতিল করা হয়। এর পরের বছর দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেওয়া হলেও কেউ সেই সুযোগ নেয়নি। এক বছর বিরতির পর আগামী অর্থবছরে আবারও ঢালাওভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলো।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রগুলো বলছে, এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে অপ্রদর্শিত প্রায় ৪৭ হাজার কোটি টাকা ঘোষণায় এসেছে, অর্থাৎ এই পরিমাণ অর্থ বৈধ করা হয়েছে।
তা ছাড়া বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই কালো টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যাবে। পুঁজিবাজারে শেয়ার বিক্রি করে লাভ হলে বিনিয়োগকারীদের কর দিতে হবে। লাভ যদি ৫০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়, ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে বলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে উপস্থাপন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বিনিয়োগকারীদের জন্য স্টক, মিউচুয়াল ফান্ড, বন্ড ও ডিবেঞ্চার বিক্রি করে লাভ করলে তার ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। তালিকাভুক্ত কোম্পানির পৃষ্ঠপোষক ও পরিচালকরা বর্তমানে শেয়ার হস্তান্তর থেকে মূলধনী লাভের ওপর উৎসে ৫ শতাংশ কর দিয়ে থাকেন। এবারের বাজেটে এ হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে শেয়ার হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে কিংবা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শেয়ার দানের ভিত্তিতে যদি দেওয়া হয়, তাহলে কর আরোপ করা হবে না।