× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

অমূল্য প্রত্নসম্পদ রক্ষায় কঠোর হচ্ছে আইন

ফসিহ উদ্দীন মাহতাব

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪ ০৮:৫৭ এএম

আপডেট : ০৬ মে ২০২৪ ১০:৪৮ এএম

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

যুগোপযোগী আইন না থাকায় দেশে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের কাজে বাধাবিঘ্ন রয়েছে। এরই মধ্যে বেহাত হয়ে গেছে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ও নিদর্শন। ঐতিহাসিক অনেক অবকাঠামো ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছে নতুন রূপ। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত আইনের ফাঁকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রত্নসম্পদ। অমূল্য এই সম্পদ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণে পুরোনো আইন রহিত করে ২০১৫ সালে নতুন আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়া শেষে আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। যাচাই-বাছাই শেষে তা আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দেয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার (৬ মে) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ আইন, ২০২৪-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি আইনও রয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। 

প্রত্নতত্ত্ব সম্পদ আইন, ২০২৪-এর খসড়ায় প্রত্নসম্পদকে অমূল্য আখ্যা দিয়ে এর ক্ষতিসাধন, ধ্বংস, ভাঙা, বিনষ্ট, পরিবর্তন করলে ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রত্নসম্পদ রক্ষায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অধিযাচন (ফরমায়েশপত্র) সাপেক্ষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে। এতে পুরাকীর্তির ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধের বিধান এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স নিয়ে পুরাকীর্তির অনুকৃতির ব্যবসার অনুমোদন দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় প্রত্নসম্পদের পাচার রোধে সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনো প্রত্নসম্পদ প্রদর্শনী ও গবেষণার স্বার্থে পরীক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো যাবে না। এ বিধান অমান্যকারী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত হলেও সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া নতুন আইনে স্থাবর প্রত্নসম্পদের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত এলাকা বা প্রপার্টি জোন ও বিশেষ সুরক্ষিত এলাকা সুনির্দিষ্ট থাকবে। বিশেষ সুরক্ষিত এলাকায় কোনো বহুতল ভবন নির্মাণ, ইটভাটা, কলকারখানা স্থাপন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, রাস্তা নির্মাণ করা যাবে না। এছাড়া প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি ব্যতীত কোনো খনন করা যাবে না।

আইনের খসড়ায় আরও বলা হয়, দেশে প্রাপ্ত ও জাদুঘরে সংরক্ষিত প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তুর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা যাবে না। এগুলো অমূল্য সম্পদ হিসেবে পরিগণিত হবে। কিন্তু এতে শর্ত দিয়ে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রত্নসম্পদ মালিকের ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ মূল্য নির্ধারণ করা যাবে। ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক পর্যায়ে কেউ প্রত্নসম্পদ বেচাকেনা বা সংগ্রহ করতে পারবেন না। তবে সরকারি মালিকানাধীন অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন জাদুঘর প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে অবহিত করে প্রত্নসম্পদ সংগ্রহ করতে পারবেন। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত অথবা বেআইনি নয়- এমন অন্য কোনো সূত্র থেকে প্রাপ্ত প্রত্নসম্পদ কোনো ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে থাকলে সেসব সম্পদের প্রমাণাদি অধিদপ্তরকে দিতে হবে। সেগুলো সংগ্রহে রাখা যাবে কিন্তু হস্তান্তর করা যাবে না। কোনো অস্থাবর প্রত্নসম্পদ বা প্রত্নবস্তু বা প্রত্নসম্পদের অংশবিশেষ সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশে পাঠানো যাবে না। এর ব্যত্যয় শুল্ক আইনের আওতায় চোরাচালান হিসেবে গণ্য হবে।

এদিকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০২৪-এর খসড়া অনুমোদনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হচ্ছে। এতে বলা হয়, ‘দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্য দক্ষ জনবল গড়িয়া তুলিবার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং সময়ের পরিক্রমায় উক্ত একাডেমির গুরুত্ব ও কর্মপরিধি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাওয়ার আইনি কাঠামো প্রয়োজনে সংস্কার ও যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়ন জরুরি।’

এর আগে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমি আইন, ২০১৭-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। আইনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। ১৯৮৫ সালে এটাকে করপোরেট বডি হিসেবে রূপ দেওয়া হয়। ১৯৭৯ সালের একটি অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ইনস্টিটিউট পরিচালিত হয়। এটি পরিচালনার জন্য ১৫ সদস্যের একটি বোর্ড থাকবে। কিন্তু ১৫ সদস্য কারা কারা হবে সেটা আইনে উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং ভাইস চেয়ারম্যান হবেন প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী না থাকলে দায়িত্ব পাবেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা