প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৪ ১৩:২৬ পিএম
জাতীয় জাদুঘর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘কেদারনাথ মজুমদার: নির্মাণ-বিনির্মাণের আখ্যান’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান। প্রবা ফটো
‘আঞ্চলিক ইতিহাসসহ ময়মনসিংহের ইতিহাস বিনির্মাণের জন্য কেদারনাথ মজুমদারকে স্মরণ করতে হবে। ঔপনিবেশিক শাসকরা যে সময় তাদের শিক্ষা সংস্কৃতি এদেশের বিস্তৃত করতে চেয়েছিল সে সময় কেদারনাথ ময়মনসিংহ গীতিকার সংগ্রহ করে ময়মনসিংহের ইতিহাস রচনা করার মাধ্যমে আঞ্চলিক ইতিহাসকে হারিয়ে যাওয়া থেকে সংরক্ষণ করেছিলেন। এজন্য কেদারনাথ আমাদের মাঝে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘কেদারনাথ মজুমদার: নির্মাণ-বিনির্মাণের আখ্যান’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
শনিবার (৪ মে) বিকালে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ছিল এ আয়োজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান। স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও প্রকাশক খান মাহবুব।
আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস ডিপার্টমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ এবং বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও অনুবাদক ফয়েজ আলম। শুভেচ্ছা বক্তৃতা প্রদান করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাকী আনোয়ার। সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ গবেষণা ফাউন্ডেশন এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।
প্রবন্ধকার তার প্রবন্ধে বলেন, ময়মনসিংহে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ কিভাবে একইসঙ্গে লেখক, প্রকাশক, গবেষক এবং ইতিহাসবিদ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন সেটি তুলে ধরেন। ময়মনসিংহের ইতিহাস কেদারনাথ মজুমদারের অমর সৃষ্টি বলেও প্রবন্ধে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি নাহিদ ইজাহার খান এমপি প্রয়াত কেদারনাথ মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য ময়মনসিংহের সুধীজনদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কেদারনাথ মজুমদারের স্মৃতি সংরক্ষণে যা যা করা প্রয়োজন সেটা করবে বলে তিনি জানান।
আলোচকরা বলেন, কেদারনাথ মজুমদার দারিদ্রতার মধ্যেও ইতিহাস চর্চায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ইতিহাস বিনির্মাণ করে অতলে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেন। ময়মনসিংহ গীতিকার সংগ্রহ করে ময়মনসিংহের গৌরব। সাহিত্য উপাদানে তুলে ধরেন।