বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫৮ পিএম
প্রবা ফটো
সংস্কৃতির সংগ্রামে দ্রোহের দীপ্তি, মুক্তির লড়াইয়ে অজেয় শক্তি—এই শ্লোগান ধারণ করে ঘুষ-দুর্নীতিবিরোধী গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্য, গান, নাচ, আবৃত্তি ও মিলনমেলার মধ্য দিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্বে সমাজে বিরাজমান ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেটবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে উদীচীর শিল্পীরা পরিবেশন করেন তাদের নতুন প্রযোজনা ‘ধর ধর চোর চোর’।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন সংগঠনটির শিল্পীরা। এতে সংগঠনের সাবেক ও বর্তমান শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ।
উদীচীর ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদযাপন অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। এরপর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক ডিন আবুল বারক আলভী। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর পতাকার রূপকার শিল্পী আনোয়ার হোসেন এবং উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক কাজী মদিনা।
উদ্বোধন ঘোষণার পরপরই উদীচীর সংগঠন সংগীত এবং গণসংগীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পীরা। এরপর অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে এবং ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। উদ্বোধক শিল্পী আবুল বারক আলভীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন উদীচীর সহসভাপতি হাবিবুল আলম।
উদ্বোধন ঘোষণা, অতিথি বরণ এবং সম্মাননা প্রদানের পর ছিল সাবেক ও বর্তমান উদীচী কর্মীদের মিলনমেলা। এরপর উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমানের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। এ পর্বে বক্তব্য দেন শিল্পী আবুল বারক আলভী, আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক কাজী মদিনা এবং উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। উদ্বোধনী পর্ব ও আলোচনা পর্বটি সঞ্চালনা করেন সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম।
আলোচনা পর্বের পর উদীচীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্ব। এর শুরুতেই বৃন্দ আবৃত্তি নিয়ে মঞ্চে আসেন উদীচীর বাচিক শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে আরও পরিবেশন করা হয় একক সংগীত, একক আবৃত্তি। সাংস্কৃতিক পরিবেশনা পর্বে শেষ আকর্ষণ ছিল সমাজে বিরাজমান ঘুষ-দুর্নীতি, সিন্ডিকেটবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, লুটপাটতন্ত্রের বিরুদ্ধে উদীচীর নতুন প্রযোজনা ‘ধর ধর চোর চোর’। উদীচীর সহসভাপতি মাহমুদ সেলিম রচিত ও সুরারোপিত এই গীতি-কাব্য-নাট্যালেখ্যটি নির্দেশনা দিয়েছেন অমিত রঞ্জন দে আর সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সুরাইয়া পারভীন।