প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৫২ পিএম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:১১ পিএম
ছায়ানট আয়োজিত শরৎ উৎসবে শিল্পীদের সম্মিলিত পরিবেশনা। প্রবা ফটো
নাচে ও গানে শরৎকে বরণ করলো সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে শরৎ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশাপাশি নজরুলসঙ্গীত ও কিছু গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
‘পোহালো পোহালো বিভাবরী’- এই সম্মেলক গীতের মাধ্যমে শুরু হয় ছায়ানটের শরৎ বরণের অনুষ্ঠান। এরপর একে একে দলীয় নৃত্য, একক ও দলীয় গানসহ বর্ণিল নানা আয়োজনে শরৎ উৎসব উদযাপন করেছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের সমৃদ্ধ এই সংগঠনটি।
সুস্মিতা দেবনাথ শুচি পুলক বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের ‘জাগো জাগো প্রিয় রজনী পোহায়’, মাকসুদুর রহমান মোহিত খান ও সৈয়দা সনজিদা জোহরা যথাক্রমে গেয়ে শুনিয়েছেনকাজী নজরুল ইসলামের ‘ভোরে ঝিলের জলে’, ‘এসো শারদ প্রাতের পথিক’। অনিন্দ্য রহমান ‘স্বপনে বাজে গো বাঁশি’, ইফাত বিনতে নাজির ‘তোমার নাম জানি নে, সুর জানি’, সঞ্চারি অধিকারী ‘হেলাফেলা সারাবেলা’ সংহতী ঘোষ রমা ও অভিজিত দাস ‘শরৎ আজ কোন অতিথি’, ‘তোমরা যা বল তাই বলো’, মহাশ্বেতা চৌধুরী ‘কোন খেপা শ্রাবণ ছুটে এল’, রেজাউল করিম ও বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী ‘শিউলি ফুলের মালা দোলে’, ‘বাজে ঐ আগমনী গান’ পরিবেশন করেন।
এই আয়োজনে নাচের পরিশীলিত পরিবেশনে শিল্পীরা যেমন শরৎকে বরণ করেছেন, ঠিক তেমনি উৎসবপ্রিয় দর্শকদের আন্তরিক অভিবাদনেও উঠে এসেছে শরতের প্রতি তাদের ভালো লাগা আর ভালোবাসার প্রকাশ। শেষে ছায়ানটের ঐতিহ্য সমবেতভাবে জাতীয় সংগীতের আগে ছিল ‘মেঘের কোলে রোদ হাসে’ গানের সঙ্গে নৃত্য।
প্রতিবছর প্রকৃতিতে শরৎ এলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বসে ছায়ানটের শরৎ উৎসব। তবে এবছর ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে উন্মুক্ত স্থানের পরিবর্তে ছায়ানটের সংস্কৃতি ভবনে আয়োজিত হয় শরৎ বরণের এই অনুষ্ঠান। অবশ্য তাতেও প্রাণোচ্ছলতার কমতি ছিলনা। বরং নাচে-গানে জমে ওঠে আয়োজন।