প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৩ ২১:১৯ পিএম
আষাঢ়ের বিকেলে বর্ষাবন্দনা করেছেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ছবি: প্রবা ফটো
আষাঢ়ের বিকেলে বর্ষাবন্দনা করেছেন ছায়ানটের শিল্পীরা। বর্ষাকে গানে, কবিতায়, নৃত্যে তুলে ধরেছেন শ্রোতাদের সামনে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কবি সুফিয়া কামালকে উৎসর্গ করে শুক্রবার(২৩ জুন) সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে এই আসর বসে। অনুষ্ঠানে শিল্পীরা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও অতুলপ্রসাদ সেন, উকিল মুনশি, ক্বারি আমিরুদ্দিন ও মোমতাজ আলী খানের বর্ষা নিয়ে লেখা গান গেয়ে শোনান।
সুস্মিতা দেবনাথ শুচির কণ্ঠে রাগ দেশ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে নৃত্যগীতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গহন ঘন ছাইল গগন ঘনাইয়া’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সম্মিলিত নৃত্যগীতে শিল্পীরা আরো গেয়ে শোনান ‘গুরু গুরু গুরু গুরু ঘন মেঘ গরজে’, ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদল দিনে’, ‘রিম ঝিম রিম ঝিম ঝিম ঘন দেয়া বরষে’। সম্মিলিত কণ্ঠে শিল্পীরা আরো গেয়ে শোনান ‘আষাঢ় মাসের বৃষ্টিরে ঝমঝমাইয়া পড়েরে’, ‘ওরে ভরা গাঙে নদীর স্রোতে’। সম্মিলিত কণ্ঠে ‘হৃদয়ে মন্দ্রিল জমরু গুরুগুরু’ গানে একক নৃত্য পরিবেশন করেন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ। কবি কালিদাস ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মেঘদূত’ থেকে আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আবৃত্তি করেন সুমনা বিশ্বাস।
একক গানে দীপ্র নিশান্ত পরিবেশন করেন ‘কখন বাদল ছোঁয়া লেগে’, ফারজানা আক্তার পলি শোনান ‘আমার নিশীথরাতের বাদলধারা’, আব্দুল ওয়াদুদ শোনান ‘আমার যাবার বেলায়’, জান্নাত-এ-ফেরদৌসী লাকী ‘বধুঁয়া, নিদ নাহি আঁখিপাতে’, ইফফাত আরা দেওয়ান ‘অনেক কথা বলেছিলেম’, মাকুসুদুর রহমান মোহিত খান ‘আজ বাদল ঝরে’, খায়রুল আনাম শাকিল ‘সোনার হিন্দোলে কিশোর কিশোরী দোলে’, শামিমা পারভীন শিমু ‘রিম ঝিম রিম ঝিম বরষা এলো’, কানিজ হুসনা আহম্মদী ‘মেঘের ডমরু ঘন বাজে’, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস শোনান 'আষাঢ় মাইসা ভাসা পানিরে’। সবশেষে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।