প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৩ ০০:২৮ এএম
আপডেট : ১৪ মে ২০২৩ ০০:২৯ এএম
সমরেশ মজুমদার। ছবি : সংগৃহীত
জলপাইগুড়ির সবুজ প্রকৃতি আর চা বাগানের শ্রমিকের দারিদ্র্যক্লিষ্ট জীবন তাকে জুগিয়েছিল লেখার রসদ। পরে কলকাতা জীবনে থিতু হয়ে নাগরিক জীবনের চালচিত্র তিনি এঁকে গেছেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়। গল্প বা উপন্যাসের চরিত্রগুলো কালান্তরে বাঙালি পাঠকের মনে গেঁথে আছে নান্দনিক বাঙময়তায়। তিনি জনপ্রিয় সমরেশ মজুমদার। শনিবার (১৩ মে) বিকালে আবিষ্কার পাবলিকেশনের আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাকে স্মরণ করেন লেখক-সাংবাদিকরা।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সমরেশ মজুমদারের মেয়ে দোয়েল মজুমদার বাবার স্মৃতিচারণ করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন সমরেশের দীপাবলী সম্পর্কে বলেন, ‘দীপাবলী পড়ে নিজেকে আমি জীবনযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছি।’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাসান হাফিজ, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি ফারুক মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, নবযুগ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী অশোক রায় নন্দী, ভারত বিচিত্রার সাবেক সম্পাদক নান্টু রায়সহ আরও অনেকে হাজির হন স্মরণ সভায়।
শ্যামল দত্ত বলেন, ‘সত্তরের শেষ দিকে নকশালবাড়ি আন্দোলন সমরেশ মজুমদারের কালবেলা ও কালপুরুষ উপন্যাসে উঠে এসেছে রোমান্টিসিজম ও বিপ্লবের মিশেলে। বাঙালি পাঠক মাধবীলতা ও দীপাবলী উপন্যাসের চরিত্রগুলোতে এখনও নিজেকে খু্ঁজে পায়। এখানেই তো একজন নন্দিত লেখকের স্বার্থকতা।’
কলকাতা পাবলিশার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জি ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সমরেশ মজুমদারের স্মৃতিচারণ করেন। পশ্চিমবঙ্গের বাড়িতে অতিথিপরায়ণ সমরেশ মজুমদারের সরস কথোপকথনের স্মৃতি যেমন তার কথোপকথনে উঠে এসেছে তেমনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙালি লেখকদের সঙ্গে কলকাতার প্রকাশকদের মিথস্ক্রিয়ার কথাও জানান তিনি।