প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩ ২২:৪৭ পিএম
আপডেট : ০৬ মে ২০২৩ ১১:৪৬ এএম
‘দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও কাঁটাতারের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনেরা। ছবি : সংগৃহীত
বাংলা ভাগ বাঙালি অন্তর থেকে মেনে নেয়নি, কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির কাছে পরাজিত হয়ে বাস্তব মেনে নিতে হয়েছে। তবে দুই বাংলার মানুষ একই ভাষায় স্বপ্ন দেখে আজও।
এ সত্যকে গুরুত্ব দিয়ে ‘দুই বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি ও কাঁটাতারের প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ‘প্রাচী-প্রতীচী আর্ট গ্যালারি’।
শান্তিনিকেতনের পঞ্চবন আর্ট রিসোর্টের খাপছাড়া মঞ্চে এ আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছিলেন দুই বাংলার অধ্যাপক, সাংবাদিক, সমাজকর্মী, শিক্ষাবিদেরা।
ইন্দো-বাংলা শিল্পসন্ধ্যার এ আলোচনায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ড. ফরিদা জামান, ড. দুলাল চন্দ্র গাইন, ড. সুশান্ত কুমার অধিকারী। পশ্চিমবঙ্গ থেকে অংশ নিয়েছিলেন সাংবাদিক দেবদীপ পুরোহিত, নাট্যকর্মী জুলফিকার জিন্না, সমাজকর্মী আহসান কামাল প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক রজত রায়চৌধুরী।
প্রত্যেকেই তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন কাঁটাতার কখনই শিল্প-সংস্কৃতির মেলবন্ধনের বাধা হতে পারে না। তবে বাস্তবতা মেনে নিয়েই দুই বাংলার মানুষ তাদের শিল্প-কৃষ্টির আদানপ্রদান করে চলেছে বছরের পর বছর ধরে।
আলোচনা সভা ছাড়াও পরিবেশিত হয় বাংলার প্রাচীন লোকসংস্কৃতি ভাদু নাচ ও মুখোশ নৃত্য। স্থানীয় শিল্পীরা অংশ নেন এ অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা শিল্পী তাপস মল্লিক বলেন, ‘দুই বাংলার মানুষের জনজীবন, লোকাচার, সংস্কৃতির ওপর কাঁটাতারের প্রভাব কতটা পড়বে এ নিয়েই ছিল মূল আলোচনা। একটা দেশ তৈরি হতে লাগে জাতি, একটা জাতি তৈরি হয় ভাষাভিত্তিক। কিন্তু দুই বাংলা অর্থাৎ দেশ আলাদা হলেও জাতি কিন্তু একটাই। তাই সংস্কৃতির আদানপ্রদানের মধ্য দিয়ে যাতে বাঙালি জাতি আবার শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে যায় তার জন্য লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে।’