তামিমার ক্যানভাসে সেলিম আল দীনের দ্বৈতাদ্বৈতবাদ

জীবনবোধ, যাপিত জীবন, মানবিক সম্পর্কের টানাপোড়েন, শ্রেণিপরম্পরায় বাঙালি জীবনের বিস্তার ও বৈচিত্র্য ভাবনায় নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন ‘দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’ নামে যে নবতর শিল্পরীতির প্রবর্তন করেছিলেন, তা চিত্রভাষ্যে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছেন চিত্রশিল্পী তামিমা সুলতানা।

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের পাঁচালিজাত নাটক ‘প্রাচ্য’ নাটকের মঞ্চ পরিকল্পনা করতে গিয়ে ২০০৯ সালে শিল্পী তামিমা সুলতানা পরিচিত হন শিল্পতত্ত্ব দ্বৈতাদ্বৈতবাদের সঙ্গে। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তিনি ওই ভাবনায় এঁকে গেছেন বিমূর্ত ধারার নানা ছবি। তার আঁকা সেসব ছবি নিয়ে শুক্রবার বিকালে ঢাকার আর্ট গ্যালারি কলাকেন্দ্রে শুরু হতে যাচ্ছে চিত্রকলা প্রদর্শনী ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’।

ঢাকা থিয়েটারের আয়োজনে ২৮ এপ্রিল থেকে ৩ মে পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শুক্রবার বিকাল ৫টায় ৫০টি ছবির এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে অতিথি থাকবেন শিল্পী আবুল বারক আলভি ও অধ্যাপক নিসার হোসেন। ‘প্রাচ্য ও দ্বৈতাদ্বৈতবাদ’ প্রদর্শনীর কিউরেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নাট্যাচার্যের শিল্পবন্ধু নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু ও তার অনুজপ্রতিম শিল্পযোদ্ধা ও চিত্রশিল্পী আফজাল হোসেন।

প্রদর্শনীটি নিয়ে তামিমা সুলতানা বলেন, ‘নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের পাঁচালি নাটক ‘প্রাচ্য’-র মূক প্রযোজনায় মঞ্চ পরিকল্পনা করতে গিয়ে ২০০৯ সালে পরিচিত হই তার শিল্পতত্ত্ব দ্বৈতাদ্বৈতবাদের সঙ্গে। এ তত্ত্বে তিনি সৃজন  ও ভাবনায় নাটকের সীমানা ছাড়িয়ে শিল্পরূপের অভেদে পৌঁছাতে চেয়েছেন। ২০১৯ সালে একই প্রযোজনায় পোশাক পরিকল্পনা করতে গিয়ে আরও গভীরে পৌঁছাই এবং আকৃষ্ট হই এ তত্ত্বের চিত্র ভাষার প্রতিফলন ঘটাতে।

প্রদর্শনীর কিউরেটর নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘জীবন ও মৃত্যু অভেদাত্মারূপে সৌন্দর্য সৃষ্টি করে মানব জীবনেÑ প্রাচ্যের এ শাশ্বত বাণী নিশ্চিতভাবে তামিমার রেখা, রঙ ও চিত্ররূপের অবিভাজ্য কাঠামোয় ধরা পড়েছে।’