প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৫০ পিএম
আপডেট : ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১২ পিএম
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘লালন সাঁইজির বাণীতে ইসলামি ও সুফি দর্শনের প্রভাব’ -বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা। প্রবা ফটো
সকল ধর্ম, দর্শন আর বিজ্ঞানের মূল সত্যানুসন্ধান। সত্যকে ধারণ করে অসত্য বা রিপুকে জয় করে সত্য বা নিজেকে চেনার সাধনাই বাউলসাধনার মূল। সে কারণে বাউলদর্শনে কোনো দ্বন্দ্ব নেই, কোনো কলহ নেই।
বুধবার (৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ‘লালন সাঁইজির বাণীতে ইসলামি ও সুফি দর্শনের প্রভাব’-বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন।
শিল্পকলা একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় পূর্ণিমা তিথিতে ৪৮তম সাধুমেলার অংশ হিসেবে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার হলে সেমিনারটি হয়। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
‘লালন সাঁইজির বাণীতে ইসলামি ও সুফি দর্শনের প্রভাব’-বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করেন ড. আবু ইসহাক। আলোচক ছিলেন কিরণচন্দ্র রায় ও শফি মণ্ডল।
সেমিনারে লালন সাঁইজির মানবতাবাদ, সুফিবাদ ও অধ্যাত্মবাদ নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বাউলগান পরিবেশন করেন আয়নাল হক, ডলি মণ্ডল, গরিব মুক্তার, ইভা, লাভলী, রুমা, মানিক, বিদ্যুৎ বাউল। পরে প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা সুফিসাধনার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, লালন ফকির ও তার সম্প্রদায় সবৈব বস্তুবাদী বস্তুর সাধক। বস্তুর বাইরে তারা অদেখা ধিয়ানকে তেমন গ্রাহ্য করেন না। কিন্তু বাউলরা আঁধারের পথযাত্রী নয়। তারা আলোর পথে চলে সত্যের সন্ধানে। সারা জীবন সাধনায় কাটিয়ে দেন মনের মানুষের সঙ্গে মিলনের আকুতি নিয়ে।