প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৩ ২৩:৪৩ পিএম
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩ ১৪:৩৫ পিএম
ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ। সংগৃহীত
বাংলা
একাডেমি
প্রবর্তিত
কবীর
চৌধুরী
শিশুসাহিত্য
পুরস্কারপ্রাপ্ত
ছড়াকার
ও
শিশুসাহিত্যিক
সিরাজুল
ফরিদ
মারা
গেছেন। বুধবার (২৯ মার্চ)
সকাল
৯টা
দিকে নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুরে নিজের বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল
৮০
বছর।
কেন্দ্রীয়
খেলাঘর
সূত্রে
জানা
গেছে,
বর্ষীয়ান
এই
শিশুসাহিত্যিক
লিভার
ক্যানসারে
ভুগছিলেন। সিরাজুল
ফরিদ
১৯৪৩
সালের
১ অক্টোবর
কিশোরগঞ্জ
জেলার
পাকুন্দিয়ায়
জন্মগ্রহণ
করেন। সত্তরের
দশকের
শুরুতে
তার প্রথম
কবিতা
প্রকাশিত
হয়
দৈনিক
আজাদে। সেই থেকে আমৃত্যু
তিনি
সাহিত্যচর্চা
করেছেন।
‘লাগাম টেনে ধর’,
‘আমি
রাজা
হব
না’,
‘পায়রা
নাচে
সূর্য্য
হাসে’,
‘লড়াই
গণতন্ত্রের
ছড়া’,
‘মুক্তিযুদ্ধ
ও
স্বাধীনতার
ছড়া,
‘একশ
লিমেরিক’
ইত্যাদি
তার
উল্লেখযোগ্য
ছড়াগ্রন্থ। লেখালেখির
পাশাপাশি
সংগঠক
হিসেবেও
খ্যাতি
অর্জন
করেন
তিনি। জাতীয়
শিশুকিশোর
সংগঠন
কেন্দ্রীয়
খেলাঘর
আসরের
সম্পাদক
ছিলেন
টানা
কয়েক
বছর। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমানকে
সপরিবারে
হত্যার
পর
প্রতিবাদ
ও
প্রতিরোধযোদ্ধাদের
সম্মুখসারিতে
ছিলেন
সিরাজুল
ফরিদ।
১৯৭৮
সালে
আবদুল
আজীজ,
আলতাফ
আলী
হাসু,
ভীষ্মদেব
চৌধুরী
ও
শিল্পী
মানিকদের
সাথে
সম্মিলিত
উদ্যোগে
‘এ
লাশ
আমরা
রাখবো
কোথায়’
শীর্ষক
প্রতিবাদী
সংকলন
প্রকাশের
ক্ষেত্রে
তিনি
বলিষ্ঠ
অবদান
রেখেছেন। নব্বয়ের
স্বৈরাচার
বিরোধী
আন্দোলনের
সময়
তার
সম্পাদনায়
প্রকাশিত
হয়
‘ডিগবাজী
জেনারেল’
শিরোনামের
আরেকটি
সংকলন। সংকলন
দুটি
বাংলাদেশের
প্রতিবাদী
সংকলনের
ইতিহাসে
অমর
হয়ে
থাকবে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রঘুনাথপুরে নিজ বাসভবনের সামনে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার সালুয়াদী গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, সংগঠক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সম্মুখযোদ্ধা সিরাজুল ফরিদ ছিলেন সরল ও সৎ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা, এক পুত্র সন্তান, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।