বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ২৩:০২ পিএম
করোনাভাইরাস মহামারিতে দুই বছর বন্ধ থাকার পর জাতীয় কবিতা উৎসবের ৩৫তম আসর বসছে আগামীকাল বুধবার। দুই দিনব্যাপী উৎসবে কবিতা পাঠের জন্য ৩০০ জন নাম নিবন্ধন করেছেন। ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ স্লোগানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে উৎসব উদ্বোধন করবেন কবি আসাদ চৌধুরী। দুই দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে উৎসব। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এই খবর দেয় পরিষদ।
পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এবারের উৎসব স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ঘিরে আয়োজন করা হচ্ছে। সেজন্যই স্লোগান ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’। উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে এই স্লোগান মূর্ত করে তোলা হবে বলে তিনি জানান।
এবারের উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও তিন দেশের কবিদের তালিকা চূড়ান্ত করেছে পরিষদ। বিদেশি কবিদের মধ্যে দিল্লি থেকে কবি অরুণ কমল, মুম্বাই থেকে হেমন্ত দিভতে, কলকাতা থেকে মৃদুল দাশগুপ্ত, বিথী চট্টোপাধ্যায়, কাজল চক্রবর্তী, সুরঙ্গমা ভট্টাচার্য, আবৃত্তিশিল্পী সৌমিত্র মিত্র, আসাম থেকে অনুভব তুলসি, সিদ্ধার্থ শংকর কালিতা, আগরতলা থেকে কবি রাতুল দেব বর্মণ, ভুটান থেকে চাদর ওয়াঙমো এবং নেপাল থেকে কবি ইন্দু থারু থাকবেন বলে জানান মুহাম্মদ সামাদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, উৎসবের দ্বিতীয় দিন ২০২০ সালের ৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসবে ঘোষিত জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২১ কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদার হাতে তুলে দেওয়া হবে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৩-এর নামও ঘোষণা করা হবে।
কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত বলেন, ‘বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। গত ৩৪টি আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এ উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।’ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলমুক্তির ডাক দিয়ে ১৯৮৭ সালে জাতীয় কবিতা উৎসবের শুরু। স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, গণতন্ত্র হনন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বর্বরতার বিরুদ্ধে এই কবিতা উৎসবে প্রতিবাদ জানান বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা কবিরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জাতীয় কবিতা উৎসব প্রাঙ্গণে এবার ওয়াইফাই সবার জন্য মুক্ত থাকবে। এ বছরের স্লেগান ও উৎসব সংগীত রচনা করেছেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। ঘোষণাপত্র লিখেছেন কবি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উৎসবের আহ্বায়ক কবি শিহাব সরকার, কবি ও প্রাবন্ধিক আমিনুর রহমান সুলতান, কবি আসলাম সানি, কবি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি দিলারা হাফিজ, কবি নাজমুন নেসা পিয়ারি, কবি হানিফ খান উপস্থিত ছিলেন।