নড়াইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:১৩ পিএম
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:২৮ পিএম
এসএম সুলতান পদক পেয়েছেন চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর। প্রবা ফটো
সুলতান পদক প্রদানের মাধ্যমে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ১৪ দিনব্যাপী সুলতান মেলার পর্দা নেমেছে শুক্রবার। চলতি বছর ‘সুলতান পদক ২০২২’ পেয়েছেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী শহিদ কবীর।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ মাঠের সুলতান মঞ্চে মেলার সমাপনী ও সুলতান পদক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভটাচার্য্য এমপির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও পরে তিনি উপস্থিত না হয়ে ভর্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
সুলতানের মতো একজন গুণী শিল্পীর নামে পদক পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শহিদ কবীর। তাকে সুলতান পদক প্রদান করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন খান নিলু, নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাহানা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. দোলন মিয়া প্রমুখ।
জেলা প্রশাসন ও সুলতান ফাউন্ডেশন যৌথভাবে মেলার আয়োজন করে। লোকজ সংস্কৃতির এ মেলায় বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে ছিল চিত্র প্রদর্শনী, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, লাঠিখেলা, কুস্তি, ভলিবল, হ্যান্ডবল, কলাগাছে ওঠাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ খেলাধুলা। ছিল প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সুলতানের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা। মেলাটি শুরু হয়েছিল গত ৭ জানুয়ারি।
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদক পান। ১৯৮৪ সালে তিনি বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট অব আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি পান এবং ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান। ১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় তার একক চিত্র প্রদর্শনী, লাহোরে ১৯৪৮ সালে, করাচিতে ১৯৪৯ সালে, লন্ডনে ১৯৫০ সালে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ১৯৭৬ সালে এবং ঢাকাস্থ জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ১৯৮৭ সালে তার চিত্র প্রদর্শিত হয়।
এছাড়া দেশ-বিদেশে বহুবার তার ছবি প্রদর্শিত হয় যা সবার নজর কাড়ে।
১৯৯৪ সালে ১০ অক্টোবর সুলতান যশোর সম্মিলিত সমরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।