প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ২১:৫৪ পিএম
মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত ‘পায়ে পায়ে পথ’ শীর্ষক স্মরণ অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: প্রবা
নব্বই দশকের শেষভাগে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রভাগেই ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলেন তিনি। যুক্ত হন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে। আর আবৃত্তির অঙ্গণ থেকে নাটকে অভিনয়, পরে নির্দেশকের ভূমিকায় ইশরাত নিশাতও আলো ছড়িয়েছেন সংস্কৃতি অঙ্গণে।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ ও গত বছরের ২০ জানুয়ারি ইশরাত নিশাতকে হারায় সংস্কৃতি অঙ্গণ। তাদের প্রয়াণের পর সংস্কৃতি অঙ্গণে একাধিক শোকসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এবার দুজনের আবৃত্তি সংগঠন বৈকুণ্ঠ একাডেমির আয়োজনে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে আয়োজিত হলো ‘পায়ে পায়ে পথ’ শিরোনামে এক স্মরণ অনুষ্ঠানে। এ অনুষ্ঠানে হাসান আরিফ ও ইশরাত নিশাতের আবৃত্তি প্রযোজনা ‘পরাণের গহীন ভিতর’, ‘রৌদ্র জলের খেলায়’ ও ‘বেদে কাহিনী’ থেকে অংশবিশেষ আবৃত্তি করেন বৈকুণ্ঠ একাডেমির শিল্পীরা।
স্মৃতিচারণ পর্বে হাসান আরিফের বোন রাবেয়া রওশন তুলি বলেন, ‘আজকে হাসান আরিফ বা ইশরাত নিশাতকে যেভাবে স্মরণ করছি আমরা, এভাবেই কি আগামী প্রজন্মও তাদের স্মরণ করবে? তারা কি এই দুই গুণী মানুষের কাজগুলো মনে রাখবে? আমি সন্দিহান। কারণ আমাদের দেশে শিল্পীরা তো সহজেই হারিয়ে যান। তাদের সৃষ্টিকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্রীয় কোনো ব্যবস্থা নেই, তাদের সৃজনকর্মের কোনো আর্কাইভ নেই। আজ আমার আবেদন, হাসান আরিফ ও ইশরাত নিশাতকে দিয়েই আমরা সেই কাজটি শুরু করি। মঞ্চনাটক ও আবৃত্তির মানুষদের কাজগুলোকে আমরা যেন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।’
বৈকুণ্ঠ আবৃত্তি একাডেমির সভাপতি শিমুল মুস্তাফা বলেন, ‘শুধু কবিতায় নয়, হাসান আরিফ ও ইশরাত নিশাত আমার জীবনের দর্শনও বদলে দিয়েছিলেন। সংস্কৃতি অঙ্গণে যে কজন মানুষ আমাদের বিমোহিত করতে পারতেন, তাদের মধ্যে হাসান আরিফ ও ইশরাত নিশাতও রয়েছেন।’