প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩৪ পিএম
সিলেটে বর্ণাট্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দুদিনব্যাপী হাছন উৎসব। ‘ঘুড্ডি উড়াইলো মোরে’ উদ্ভোধনী গানের সঙ্গে অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক স্থপতি ও নাট্যকার- শাকুর মজিদ বেলুন ও ঘুড্ডি উড়িয়ে অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী হাছন রাজাকে নিয়ে এটিই প্রথম উৎসব।
অনুষ্ঠানে লোকনৃত্য, হাছন রাজার গান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা বর্ণাট্য আয়োজন করা হয়। দলীয় গান ‘আঁখি মুঝিয়া দেখো রুপ’ পরিবেশন করে একঝাঁক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিল্পীরা অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানে হাছন রাজার গানে বিশেষ অবদানের জন্য সাতজন গুণী ব্যক্তিত্বকে হাছন রত্ন পদকে ভূষিত করা হয়। তারা হলেন- কন্ঠশিল্পী ও সুরকার আকরামুল ইসলাম, কন্ঠশিল্পী সেলিম চৌধুরী, স্থপতি ও নাট্যকার- শাকুর মজিদ, কন্ঠশিল্পী- উজির মিয়া (মরণোত্তর), কন্ঠশিল্পী- আব্দুল লতিফ (মরণোত্তর), কন্ঠশিল্পী- সৈয়দা ইয়ারুননেছা (মরণোত্তর), কন্ঠশিল্পী ও সুরকার- বিদিত লাল দাশ (মরণোত্তর)।
এছাড়া বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়- একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন সুষমা দাশ, হিমাংশু বিশ্বাস, জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, আবু বকর সিদ্দিক, শরদিন্ধু ভট্টাচার্য, সুমন কুমার দাশ, মোস্তফা সেলিম, মালতী ভট্টাচার্য এবং সৈয়দা আঁখি হককে।
হাছন রাজা লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন- ডা. জহিরুল হক অচিনপুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা-পরিচালক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এমাদ উল্লাহ, এ্যাড. শহীদুল ইসলাম শাহীন, আব্দুল বাছিত শেরো প্রমুখ।
হাছন রাজার পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের উপদেষ্টা দেওয়ান শাহাবাজ রাজা চৌধুরী ও শামীম রেজা চৌধুরী। প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সোলেমান হোসেন চুন্নুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সংগঠনের সকল সদস্যের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.কামরুল চৌধুরীর শিল্প নির্দেশনায় দুদিন ব্যাপী আয়োজন দর্শকনন্দিত ও গ্যালারী কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল।