প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৪৮ পিএম
রাধারমণ সাংস্কৃতিক উৎসবে নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনা। ছবি: প্রবা
আবহমান
গ্রামবাংলার চিরায়ত লোকজ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পুরোনো ধারাকে টিকিয়ে রেখে তার শুদ্ধ
রূপ চর্চার আহ্বান জানিয়ে রবিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে শেষ হয়েছে রাধারমণ সাংস্কৃতিক
উৎসব।
রাজধানীর
বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের তিন দিনব্যাপী এই
আয়োজনের শেষ দিনের আসরে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যজন ম হামিদ ও আওয়ামী লীগের
সংস্কৃতি সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।
শেষ দিনের
আসরে রাধারমণের গানের পাশাপাশি লোকসাধক সৈয়দ শাহনূর, রশীদ উদ্দিন, জালাল খাঁ, উকিল
মুন্সী, দীন শরৎ, আরকুম শাহ, শেখ ভানু ও বিজয় সরকারের গান পরিবেশন করেন বাউল
বসিরউদ্দিন, বাউল সূর্যলাল, শিল্পী চট্টোপাধ্যায়, শিশির অধিকারী, বাউল সুনীল
কর্মকার, বাউল রুবি সুরেশ্বরী, ফারহানা আক্তার ইভা, সিরাজউদ্দীন খান পাঠান, গৌরী শর্মা,
মোশাররফ হোসেন, আরিফুর রহমান, দীপ বিশ্বাস, বাউল আমীর আলী, বাউল রেখা বেগম, শীতন
বাবু, নারায়ণ চন্দ্র শীল, বায়োজীদ শাহ, সুতপা রায় ও বাউল
লাল্টু।
রাধারমণ
সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘রাধারমণ লোকসঙ্গীত
উৎসবে আসা বৃহত্তর সিলেটের লোকগানের শিল্পীদের এবারের দাবি, রাধারমণের গান সংগ্রহ,
পুনরুদ্ধার, সংরক্ষণ, স্বরলিপি প্রণয়ণ ও প্রশিক্ষণের জন্য সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর
উপজেলার কেশবপুর গ্রামে রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হোক।’
শুক্রবার
(২৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে ১২তম রাধারমণ লোকসঙ্গীত উৎসবের
উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জের প্রবীণ কীর্তনিয়া যশোদা রাণী সূত্রধর। অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে সভাপতিত্ব করেন রাধারমণ
সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের সভাপতি মাহমুদ সেলিম।
কেন্দ্রের
সাধারণ সম্পাদক ড. বিশ্বজিৎ রায়, বিশিষ্ট লোকসংগীতশিল্পী আকরামুল ইসলাম ও বাংলাদেশ
বেতারের সাবেক মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীলও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন৷
অনুষ্ঠানে
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। আলোচক হিসেবে ছিলেন সিলেটের
লোকগবেষক সুমন কুমার দাস।
প্রথম দিনের অনুষ্ঠানে দলীয় সংগীত পরিবেশন করে রাধারমণ চর্চাকারী দল ও সৃজনশীল গানের দল নিবেদন। একক শিল্পী হিসেবে গান শোনান অণিমা মুক্তি গোমেজ, আবু বকর সিদ্দিক, তুলিকা ঘোষ চৌধুরী, শুভ বণিক, লাভলী দেব, শাহনাজ বেলী, বাউল হারুন, খায়রুল ওয়াসি, অনামিকা চন্দ কেয়া, মিতালী রায়, পুষ্পিতা সোম, মাধুরী তালুকদার, অনুপম দাস, অর্পিতা দাস, কৃষ্টি রায়, জয়ীতা ঘোষ, প্রাচ্য প্রত্যয়, সুমন মুন্নাম, সংগীতা দাস, সম্পা পাল চৌধুরী, এনামুল হক, নন্দিনী রায়, শিমুল নন্দী, অম্লান ঘোষ, ঈশিতা বড়ুয়া, শুভ্রা জোয়ার্দার, শাহীনা আক্তার পাপিয়া, সৃজ্যোতি রায়, অন্বেষা দাস, মাকসুদুর রহমান দিপু, মনিকা দাস ও পংকজ রায়।