প্রবা প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২০:২৯ পিএম
আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২ ২২:১৬ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে তেত্রিশতম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া। ছবি : প্রবা
করোনার কারণে এক বছর বন্ধ থাকার পর আগামী শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শুরু হতে যাচ্ছে তেত্রিশতম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা এই উৎসবের আয়োজন করছে।
শুক্রবার সকালে দুদিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। ওইদিন স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরেণ্য সঙ্গীত শিল্পী মো. রফিকুল আলমকে সম্মাননা জানান হবে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তপন মাহমুদ ও নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ।
শুক্রবার সকাল ১০টায় উৎসবের উদ্বোধন ও সম্মাননা প্রদান শেষে বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে সংগীত পরিবেশনা। মাঝে বিরতি নিয়ে বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান।
পরদিন ২৬ নভেম্বর (শনিবার) বিকাল ৫টা থেকে হবে আবৃত্তি ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারের উৎসবের সারা দেশ থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী একক ও দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবেন। এর মধ্যে রয়েছেন বুলবুল ইসলাম, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, রোকাইয়া হাসিনা, অদিতি মহসিন, ড. অরূপ রতন চৌধুরী, চঞ্চল খান, লিলি ইসলামসহ বেশ কয়েক জন প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী। উদ্বোধনী পর্বে অংশ নেবে পাঁচটি সঙ্গীত দল।
দলগুলো হলো- সুরতীর্থ, সঙ্গীতভবন, বিশ্ববীণা, বুলবুল ললিতকলা একাডেমী (বাফা) ও উত্তরারণ। জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হবে। এর পর থাকবে পর পর দুইটি কোরাস। দুই দিনের অনুষ্ঠানে গানের পাশাপাশি আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশ নেবেন বাকশিল্পী আশরাফুল আলম, জয়ন্ত রায়, বেলায়েত হেসেন. মাহমুদা আখতার ও রেজিওয়ালী লীনা।
সংবাদ সম্মেলনে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ বলেন, ১৯৮৮ সাল থেকেই এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য নবীন শিল্পীদের প্রমোট করা। সেই ধারা অব্যাহত থাকছে এবারের উৎসবেও। এখন অসংখ্য চ্যানেল, কিন্তু শিল্পীরা আগের সেই এক্সপোজার পান না। অথচ আমরা চাই নতুনরা গাইবার সুযোগ পাক, প্রচার পাক। সেই কাজটির জন্য এমন একটি উৎসবের আসলে খুব দরকার। এমন আয়োজন হলে নতুন শিল্পীরা অনেক সাহস পান। তাই এবারও আমরা নতুন সদস্যদের তুলে ধরবো মঞ্চে। সঙ্গে আমরা পুরনোরা তো থাকবোই।
এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে করোনাকালে যেসব শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতজন মারা গেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি।
এ প্রসঙ্গে তপন মাহমুদ বলেন, ‘এই মহামারি শুধু আমাদের মঞ্চটাই কেড়ে নিয়েছে তা নয়। নিয়েছে আরও অনেক তাজা প্রাণ। যারা থাকলে আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হতে পারতো। তাই সেই মানুষগুলোকে উৎসর্গ করা হলো এই আয়োজন। আর এবারের স্লোগানের উদ্দেশ্য হলো, ‘আমরা বলতে চাই- আমাদের যত ব্যথা ও বাধা ছিলো জীবনে, তার সব অতিক্রম করবো এই উৎসবের ভেতর দিয়ে।’