× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন ৩

বিদেশে কর্মসংস্থান এগিয়ে নিচ্ছে কুমিল্লাকে

মাসুক আলতাফ চৌধুরী

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:১৩ এএম

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ১২:০৭ পিএম

মাসুক আলতাফ চৌধুরী

মাসুক আলতাফ চৌধুরী

বাংলাদেশ দীর্ঘকাল একটি জনশক্তি রপ্তানিমুখী দেশ। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক খাতের পরই রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স; যা আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। যে বিপুলসংখ্যক জনশক্তি প্রতি বছর ভাগ্যান্বেষণে বিদেশে যায়, তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স নিজ পরিবারই নয়, দেশের ভাগ্য পরিবর্তনেও বড় ভূমিকা রাখছে। বিদেশে বৈধ পথে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজের জন্য যায় কুমিল্লা থেকে সে হিসেবে কুমিল্লা প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা। জনশক্তি রপ্তানিতে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে কুমিল্লা শীর্ষে। তাই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কুমিল্লার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছে কুমিল্লার ১৩ লাখ ১৩ হাজার ৬২৪ জন নারী-পুরুষ। প্রতি বছর কাজ নিয়ে দেশের বাইরে যাওয়া মোট জনশক্তির ১০ ভাগই এ জেলার বাসিন্দা। প্রসঙ্গত, শুধু কুমিল্লায় নয়, দেশের শীর্ষ ১০ জনশক্তি রপ্তানিকারক জেলার তালিকায় চট্টগ্রাম বিভাগেরই রয়েছে সাতটি। কুমিল্লার ১৭ উপজেলার মধ্যে আবার বেশিরভাগ প্রবাসীই সদর, চৌদ্দগ্রাম, লাকসাম ও দাউদকান্দি উপজেলার। প্রতি মাসে এ জেলার প্রবাসীরা গড়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার দেশে পাঠাচ্ছে। সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি করা গেলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়ানো সম্ভব।

কুমিল্লা নগরীর আকাশছোঁয়া ইমারতগুলো নির্দেশ করে এলাকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশি শ্রমিকদের শীর্ষ গন্তব্য সৌদি আরব। মোট বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ৩৭ ভাগই উপসাগরীয় এ দেশটিতে। তার পরই রয়েছে মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত ও জর্ডান। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া বেশিরভাগ শ্রমিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নির্মাণ ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজ করে। যাদের মাসিক বেতন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করে। বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এদের প্রায় সবাই অদক্ষ শ্রমিক। যাদের বিদেশ যেতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, তার বিপরীতে আয় হয় অনেক কম। এ ছাড়া দক্ষ ও আধাদক্ষ শ্রমিক বিভিন্ন দেশে প্লাম্বার, এসি ও ফ্রিজের ইলেকট্রিশিয়ান বা টেকনিশিয়ান হিসেবে আছে। এখন অবশ্য মধ্যপ্রাচ্যনির্ভরতা কাটানোর চেষ্টা চলছে। বিকল্প শ্রমবাজার হিসেবে ইউরোপকে ভাবছে সরকার। যুগোস্লাভিয়া, আলবেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়ায় কিছু কর্মী গেছে। এসব দেশ আরও বিপুল কর্মী নেবে। এ ছাড়া গ্রিস, মালটা ও সার্বিয়া বাংলাদেশি কর্মী নেবে। ইতালির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে সরকারের। সরকারের নজর মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর দিকেও রয়েছে। উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও হংকংয়ে জনশক্তি রপ্তানির বিষয়টি ভাবছে সরকার। এতে জনশক্তি রপ্তানি আরও বাড়বে।

এখন ভিড় অনেক, দিন দিনই বাড়ছে। চাকরিদাতা দেশগুলো দক্ষ ও যোগ্য কর্মী খুঁজছে। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিকের কর্মসংস্থান গত বছর ২২ ভাগ বেড়েছে। এখন যারা যাচ্ছে তার ২৫ ভাগ দক্ষ আর ৫০ ভাগই অদক্ষ, বাকিরা আধাদক্ষ; যাদেরও অদক্ষই বলা হচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য সবচেয়ে বেশি বিদেশ গেছে ড্রাইভার, কেয়ারগিভার, গৃহকর্মী, আতিথেয়তা কর্মী, ইলেকট্রিশিয়ান, কোয়ালিটি কন্ট্রোল সুপারভাইজার, রেফ্রিজারেশন ও এয়ার কন্ডিশনার, প্লাম্বিং ও পাইপ ফিটিং এবং সাধারণ বৈদ্যুতিক কর্মী। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশকে স্বল্পবেতন শ্রমের অন্যতম প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়। এ কারণেই ফিলিপাইন, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ কর্মীপ্রতি রেমিট্যান্স কম পায়। দেশে শিক্ষিত বেকারের অভাব নেই। অভাব দক্ষ শ্রমশক্তির। উচ্চশিক্ষায় অতি ঝোঁকের ফলে উচ্চশিক্ষিতরা কর্মকর্তা পদে চাকরি না পেয়ে বেকার থাকছে, অন্যদিকে শিল্পকারখানাগুলো শ্রমিক সংকটে ভুগছে। অর্থনীতি ক্রমে কৃষি থেকে শিল্পনির্ভর হচ্ছে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ কর্মী তৈরি হচ্ছে না। একই অবস্থা বিদেশের শ্রমবাজারেও, সেখানে চাহিদামতো দক্ষ কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না।

নারী শ্রমিকরা সরকারিভাবে গেলে বিদেশে যাওয়ার আগে অল্প কিছুদিনের প্রশিক্ষণ পায়। যদিও বা তাদেরও দক্ষ বলা হয়। এদের প্রায় সবারই জোটে গৃহস্থালিসংশ্লিষ্ট কাজ। এমনিতেই অদক্ষ শ্রমিকদের কম বেতনে, নিচু পদে কাজ করতে হয়। তাই বেতনও কম। এর প্রভাব সরাসরি পড়ছে রেমিট্যান্সে।

সংখ্যার দিক থেকে রপ্তানি বাড়লেও হার অনুযায়ী দক্ষ কর্মী পাঠানো বাড়ানো যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞমতÑদক্ষতা অর্জনে অনীহা, জাতীয় শিক্ষানীতির দুর্বলতা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণকেন্দ্র না থাকা এবং জনসচেতনতা ও সরকারের বাস্তবমুখী পরিকল্পনার অভাবেই জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তুলে বিদেশ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম, সমাজ বিনির্মাণের কথা বলছেন। গত বছরও সবচেয়ে বেশি অদক্ষ শ্রমিক প্রবাসী হয়েছে। দক্ষ কর্মী না হওয়ায় বাংলাদেশি অভিবাসী গড় মাসিক আয় মাত্র ২০৩ দশমিক ৩৩ ডলার। অন্যদিকে ফিলিপাইনের একজন অভিবাসীর গড় মাসিক আয় ৫৬৪ দশমিক শূন্য ১ ডলার। ব্যবধানটা প্রায় তিন গুণ। আমাদের সিংহভাগ জনশক্তিই যায় সৌদি আরবে; সে তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে সামান্য। তার পরও সৌদি আরবের সমান রেমিট্যান্স আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

এটা সত্য, অর্থ উপার্জনে মানুষ বিদেশে পাড়ি দেয়। এটা ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এতে জোর বা বাধ্য করা চলে না। তেমনভাবে প্রশিক্ষণ নিতেও বাধ্য করা যায় না। অবশ্য প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলো থেকে উদ্বুদ্ধকরণে ক্যাম্পেইন, লিফলেট বিতরণ, জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছানো এসব হচ্ছে। জাপান শ্রমিক নিতে চায়, সে ক্ষেত্রে ভাষা শিক্ষা জরুরি। তা ছাড়া জাতি হিসেবেও আমরা ইংরেজিতে দুর্বল। কোরিয়ায় যেতে ইচ্ছুক কিন্তু ১০০ জন পরীক্ষা দিলে দুজনও টেকে না। দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে কয়েক গুণ বেশি আয় করা যায়। ইউরোপের বেশ কটি দেশের ভাষা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সারা দেশে বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ১১০টি কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র (টিটিসি) রয়েছে। এর সক্ষমতা ৪০ হাজার। এরা প্রশিক্ষণ দেয় দ্বিগুণ, ৮০ হাজার। এর বিপরীতে চাহিদা অনেক। সব কোর্স কারিকুলাম যুগোপযোগী নয়। সুযোগসুবিধাও সীমিত।

বাংলাদেশের উন্নয়ন মূলত অদক্ষ শ্রমিকের হাত ধরেই হয়েছে। তৈরি পোশাকশ্রমিক থেকে কৃষিশ্রমিকÑসব খাতেই অদক্ষ শ্রমিকের আধিক্য। প্রবাসী আয় যারা পাঠাচ্ছে তাদেরও বড় অংশ অদক্ষ। কিন্তু এখন অর্থনীতিকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে হলে কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) বলছে, শীর্ষ ১০ শিল্প খাতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির চিত্র উদ্বেগজনক। মাত্র ১ দশমিক ৩৫ ভাগ শ্রমিক প্রশিক্ষণ পায়। মানে ৯৮ দশমিক ৬৫ ভাগ শ্রমিক প্রশিক্ষণ আওতার বাইরে থাকছে। এ খাতে সবচেয়ে কম প্রশিক্ষণের সুযোগ পায় নির্মাণশ্রমিক, মাত্র শূন্য দশমিক ৪৫ ভাগ। কৃষি, বনায়ন ও মৎস্য খাতের শ্রমিকদের মাত্র শূন্য দশমিক ৩৭ ভাগ বছরে একবার প্রশিক্ষণ পায়। দক্ষতা অর্জনে কাজের অভিজ্ঞতাই বড় ভরসা। লাভজনক না হওয়ায় দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে রিক্রুটিং এজেন্সি বা বেসরকারি উদ্যোক্তারাও এ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। তাই সরকারকেই বড় উদ্যোগ নিতে হচ্ছে। কিন্তু উদ্যোগ সরকারি-বেসরকারি হলে বড় ধরনের ভূমিকা রাখা সম্ভব

নারী জনশক্তি রপ্তানিও আগের বছরগুলোর চেয়ে বেড়েছে। গত বছর কুমিল্লা থেকে ১২ ভাগ নারী কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেছে। নারীদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা দিতে পারলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। এটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এ অভিমত শ্রম ও জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর কর্তাব্যক্তিদের। তারা জানান, নিরাপদ, দায়িত্বশীল অভিবাসন, মানব পাচার রোধ, দালালের দৌরাত্ম্য কমানো, উচ্চ ব্যয় হ্রাস, অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। তাদের মত, জেনে বুঝে, প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বিদেশ গেলে অর্থ-সম্মান দুটোই পাওয়া যাবে। পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণ ছাড়া এখন বিদেশ গেলে লাভ নেই। অদক্ষ জনশক্তি কেউ আর চাচ্ছে না। সবাই দক্ষতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিদেশি শ্রমবাজার তার প্রয়োজন অনুযায়ী জনশক্তি আমদানি করে। এ পছন্দ আগে থেকে জানা ও তদনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে উঠছে না। এজন্যই আমরা পিছিয়ে আছি

সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে চায়। বছরে বিদেশের শ্রমবাজারে ৫ লাখ দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। দেশের ১৬ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ৭০ ভাগই কর্মক্ষম। বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৩ ভাগ। ২০৩০ সালের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৫ বয়সি জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৬ কোটিতে

বর্তমান অবস্থায় যেভাবে বিদেশ যাচ্ছে সেভাবে রেমিট্যান্স আসছে না। গত বছর কুমিল্লায় ঢুকেছে মাত্র ১ হাজার ২৮৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার। যে সংখ্যায় যাচ্ছে আর ব্যাংকিং চ্যানেলে আয় যা পাঠাচ্ছে তার হিসাব মিলছে না কোনোভাবেই। এ ক্ষেত্রে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠানোও একটি কারণ। প্রবাসীদের ভাষ্যমতে, দেশে টাকা পাঠাতে নানা জটিলতার কারণেই তারা সহজ হুন্ডির পথ বেছে নিচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মত, কোথায় জটিলতা সরকারকেই খুঁজে বের করতে হবে। অর্থনীতি স্বাস্থ্যবান রাখতে হলে এদিকে মনোযোগ বাড়াতে হবেসম্প্রতি ৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী নানাভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য এমনটাই বলছে। সরকারকে এ ক্ষেত্রেও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিদেশি আয়ে অর্থনীতি বিশেষ করে অবকাঠামোর চিত্র বদলেছে। আবাসন খাতের উন্নয়নে বিদেশিরা বেশি ভূমিকা পালন করছে। কুমিল্লা নগরী জুড়ে বহুতল শত শত ভবন। এমন চিত্র ১০ বছর আগেও ছিল না। এ যেন বহুতল ভবনের আকাশছোঁয়ার প্রতিযোগিতা। যার বড় অংশের জোগানদাতা প্রবাসীরা। কুমিল্লার প্রবাসীদের আয়ের ৩০-৩২ ভাগ বিনিয়োগ হয়েছে আবাসন খাতে। ১০ বছরে নগরীর সড়ক, অলিগলি ছাড়াও ২০টি হাউজিংয়ে নির্মাণ হয়েছে ৫০০টির বেশি বহুতল ভবন। বহুতল ভবনের ফ্ল্যাট ক্রেতার ৭০ ভাগই প্রবাসী। তাই নির্মাণসামগ্রীর ঊর্ধ্বগতির কারণেও থেমে নেই ভবন নির্মাণের কাজ। স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনে প্রবাসীদের পরিবার শহরমুখী হয়েছে। এতে নুয়েপড়া অর্থনীতিতে গতি এসেছে। তবে অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকেও খুব ভালো বিনিয়োগ বলা যাবে না। ভলো হতো প্রবাসীরা যদি দেশে নির্ভরযোগ্য, উৎপাদনমুখী কোনো উদ্যোগে পুঁজি খাটানোর সুযোগ পেত। কিন্তু সেটা খুব কমই হচ্ছে।

অর্থনীতিসহ সামাজিক উন্নয়নমূলক নানা খাতে প্রবাসীদের অবদান থাকলেও নাগরিক সেবার ঘাটে ঘাটে হয়রানির শিকার হচ্ছে তারা। নাগরিক সেবার সব সেক্টরেই তারা অবহেলিত। দেশবিদেশ সেবা খাতের সব সেক্টরেই প্রবাসী ডেস্ক খোলার দাবি তাদের। এতে ভোগান্তি ও হয়রানি কমবে। পরিবার নিরাপত্তা পাবে, জীবনযাপন সহজ হবে। রাষ্ট্রীয় সুযোগসুবিধা নির্বিঘ্নে মিলবে। প্রবাসীদের মর্যাদাও বাড়বে। এতে বিদেশ যাওয়ার প্রবণতাও বাড়বে। বিশ্ব শ্রমবাজারে আমরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠব

  • সাংবাদিক
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা