× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন ১

ঢাকার আগামীর উন্নয়ন

নজরুল ইসলাম

প্রকাশ : ১১ মার্চ ২০২৪ ১৫:৫৫ পিএম

আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪ ০০:১৪ এএম

নজরুল ইসলাম

নজরুল ইসলাম

রাজধানী ঢাকার বয়স চারশ বছরের বেশি। স্বাধীন দেশের রাজধানীর নতুন পরিচয়ে এর দ্রুত অগ্রগতি শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকা শহর সীমিত পরিসরের মধ্যে ছিল। যদিও সময়ে সেটাই ছিল বেশ বড়ো শহর, মহানগর। তখন ঢাকায় প্রায় ১০ লাখ লোক বাস করত। শহরের বিস্তৃতি ছিল বুড়িগঙ্গা থেকে টঙ্গী খাল পর্যন্ত বা আরেকটু উত্তরে। একাত্তরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সাল, এ ৫৩ বছরে রাজধানীর বিশাল সম্প্রসারণ ঘটেছে। এ সম্প্রসারণ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে তো বটেই, টঙ্গী খাল পেরিয়ে টঙ্গী শহর হয়ে উত্তরে গাজীপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। পুবদিকে ডিএনডি হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত, দক্ষিণে ও পশ্চিমে আছে কেরানীগঞ্জ। পশ্চিমে রায়েরবাজার, মোহাম্মদপুর, মিরপুর। একটু দূরে পশ্চিমে সাভার। এ বিশাল শহর এখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীন।

রাজধানী বলতে আমরা বুঝি ঢাকা। রাজউকের ঢাকা বলতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, কেরানীগঞ্জ মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার। এ বিস্তৃত এলাকা একাত্তরের তুলনায় তো অবশ্যই বিশাল। এখন অনেক শহর একীভূত হয়ে গেছে। যদিও সেগুলোর আলাদা সিটি করপোরেশন, আলাদা পৌরসভা রয়েছে। গ্রামীণ এলাকাও আছে, আছে ইউনিয়ন পরিষদ। একাত্তরে সীমিত এলাকায় ছিল প্রায় ১০ লাখ লোক। এখন সেটা বৃহত্তর (রাজউক এলাকায়) প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ। ১৭-১৮ গুণ বেশি। শহরের আয়তনও ১০ গুণ বেড়েছে। এখনও এ শহরে দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। আসলে এ বৃহত্তর শহর একটি শহরাঞ্চল বা মেগা সিটি।

নগরে নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন রকমের ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণ ও নির্মাণ হচ্ছে। তার মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে আবাসিক প্রয়োজনে ঘরবাড়ি নির্মাণের কথা। বাণিজ্যিক প্রয়োজনে মতিঝিল গড়ে উঠেছে অনেক আগেই। এখন নতুন নতুন বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে। পুরান ঢাকায় নবাবপুর, সদরঘাট বাণিজ্যিক এলাকা আগেই ছিল। পাকিস্তান আমলে হয়েছে তেজগাঁও, মতিঝিল। পাকিস্তান আমলে আবাসিক এলাকার বিশাল সম্প্রসারণ ঘটে। ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া নিয়ে গড়ে ওঠে বিশাল বিশাল আবাসিক এলাকা। উত্তরার প্রাথমিক পরিকল্পনা আগেই করা ছিল, এর নির্মাণ শুরু হয় বাংলাদেশ আমলে। বারিধারাটা পুরোই হয়েছে বাংলাদেশ আমলে। সর্বশেষ হচ্ছে পূর্বাচল। বিশাল এলাকা নিয়ে পূর্বাচল হবে। একেবারে বালু নদ থেকে শীতলক্ষ্যা পর্যন্ত। খুবই সুন্দর পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা। একসময় হয়তো ওখানেই ১০ লাখ বা তারও বেশি লোক বসবাস করবে। এদিকে ডিএনডি যেটা কৃষি উন্নয়নের জন্য ছিল বাঁধ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রিত এলাকা, সেটা এখন রূপান্তরিত হয়ে আবাসিক, শিল্প-বাণিজ্যিক এলাকা হয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলের আগে ঢাকা শহরে শিল্পকারখানা খুব ছিল না, একটা-দুইটা ছিল। পাকিস্তান আমলের শুরুতে ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরে উন্নীত করার জন্য একটি আলাদা সংস্থা তৈরি করা হয়। সেটি ডিআইটি (ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট) নামে খ্যাত ছিল। সেখান থেকে একটা মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, ঢাকা মহাপরিকল্পনা বা ঢাকা মাস্টারপ্ল্যান। এটা ছিল ২০ বছর মেয়াদি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত। সে অনুযায়ী গুলশান, বনানী ও উত্তরার পরিকল্পনা করা হয়। তখনই আলাদা করে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে গড়ে ওঠে মতিঝিল ও কারওয়ানবাজার। শিল্প এলাকা তেজগাঁও, হাজারীবাগ ও শ্যামপুর। এগুলো ছিল বিশুদ্ধ শিল্প এলাকা। এর মধ্যে এখন হাজারীবাগ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, দূষণের কারণে। শ্যামপুর এখনও আছে। তেজগাঁও শিল্প এলাকা রূপান্তরিত হচ্ছে, একবারে নয়, ক্রমান্বয়ে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিস হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়া, খবরের কাগজ, বড় কোম্পানির শোরুম, হাসপাতাল, ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি হচ্ছে। শিক্ষা এলাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট যেমন ছিল, নতুন করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে সরকারি। অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। মেডিকেল জোন (শেরেবাংলানগরে) হয়েছে। আর হয়েছে প্রশাসনিক এলাকা। পাকিস্তান আমলে হয়েছে পল্টন এলাকার পাশে ওসমান গণি রোডে কেন্দ্রীয় সচিবালয়। এটা পাকিস্তান আমলে শুরু হয়, বাংলাদেশ আমলে সমৃদ্ধ হয়, এর কলেবর বৃদ্ধি পায়। এখন প্রশাসনিক এলাকা বিস্তৃত হয়েছে আগারগাঁওয়ে, শেরেবাংলানগর। পার্লামেন্ট, প্ল্যানিং কমিশন এগুলো হয়েছে। বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনের কার্যালয় হয়েছে। যেমন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আর্কাইভ, বেতার, ইউজিসি, লোকাল গভর্নমেন্ট ইনস্টিটিউট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, পাসপোর্ট অফিস, আইডিবি ভবনসহ অনেক অফিস হয়েছে। একটা শহরের জন্য এগুলো তো লাগেই। আর লাগে বিনোদন। বিনোদনের জন্য পার্ক, খেলার মাঠ এগুলো লাগে। আগে স্টেডিয়াম ছিল। বাংলাদেশ আমলে আরও স্টেডিয়াম হয়েছে। খেলার মাঠ সমৃদ্ধ হয়েছে। পার্ক ছিল, এখন কিছু বেড়েছে। চন্দ্রিমা উদ্যান অবশ্যই একটা বড় পার্ক। জাদুঘরের সংখ্যা বেড়েছে।

উত্তরা হয়ে গেছে, পূর্বাচল হচ্ছে। ঢাকার একটু বাইরে দক্ষিণে ঝিলমিল প্রকল্প সরকারিভাবে হচ্ছে। এর পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বিশাল পরিবর্তন, অগ্রগতি ও সম্প্রসারিত হয়ে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিক্ষা এলাকা হচ্ছে সরকারপ্রদত্ত জায়গায়। বেসরকারিভাবে বেশি অগ্রগতি হচ্ছে আবাসিক এলাকার। বিশাল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ইউনাইটেড, রূপায়ণ শহর ইত্যাদি বড় কাজ হচ্ছে। গত ৫৩ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এসব সচল রাখার জন্য অর্থাৎ একটা শহর সচল রাখার জন্য কতগুলো মৌলিক জিনিস লাগে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মধ্যে আগে ছিল সড়কপথ। এটা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। তার পরও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। জনসংখ্যা এত বেড়েছে, এর জন্য এ সম্প্রসারণ। শহর মানেই চলাচল, যোগাযোগ, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত যাতায়াত। আবাসিক এলাকা থেকে কর্মস্থলে যাওয়া। আবার সেখান থেকে ফেরত আসা।

যোগাযোগব্যবস্থার জন্য সড়কপথ, রেলপথ আগেই ছিল। তবে রেলপথ একটাই এখনও আছে। আন্তঃনগর রেল। কমলাপুর থেকে একদিকে নারায়ণগঞ্জ, আরেকদিকে টঙ্গী হয়ে নরসিংদী ও ময়মনসিংহ। রেলের একটাই লাইন, হয়তো ট্র্যাক বেড়েছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ হয়েছে সড়কপথের। ডিআইটি কতগুলো সড়ক পরিকল্পনা করে দিয়েছিল। যোগাযোগ, পরিবহন এটাই হলো শহরের মূল চালিকাশক্তি। এটা যদি সুপরিকল্পিত না হয় তাহলে সে শহর সেভাবে সচল হয় না। অচল হয়ে যায়। অনেকটা এখন যে রকম। পরিবহনের দুটি দিক। একটি সড়ক বা পরিবহন নেটওয়ার্ক, আরেকটি পরিবহন বা যানবাহন। নানানরকম পরিবহন। যানবাহন চলাচলে আবার দুটি বিষয় আছে। একটি পথচারী, আরেকটি যানবাহন ব্যবহারকারী। এখন দুটিই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বড় শহরে অবশ্যই যান্ত্রিক যানবাহন বেশি চলবে। সেখানে গণপরিবহন গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগত পরিবহনের মধ্যে মোটরগাড়ি, মোটরসাইকেল, সাইকেল, রিকশা এগুলো। নানানরকমের পরিবহন। উন্নত দেশে এত বৈচিত্র্যপূর্ণ পরিবহন থাকে না। মেট্রোরেল, বাস, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল, সাইকেল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশ, ভারত এবং তৃতীয় বিশ্বের কয়েকটি দেশে খুবই মিশ্র যানবাহন চলাচল করে। রিকশা, রিকশাভ্যান, ঠেলাগাড়ি, টেম্পু, সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল কী নেই। বাসের মধ্যে মিনিবাস, মাইক্রোবাস, কোস্টার, বড় বাস, আরও বড় বাস, আর্টিকুলেটেড বাস, ডাবলডেকার নানানরকমের বাস। এ ব্যবস্থাটার পরিকল্পনা খুবই জরুরি। এখন তো সর্বাধুনিক মেট্রোরেলও যুক্ত হয়েছে।

নেটওয়ার্ক ও যানবাহন। কী ধরনের রাস্তাঘাট হবে, সেটা প্রথমে করেছে রাজউক। এখন ডিইউটিসিএ (ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি) করছে। এ দুটি আলাদা কর্তৃপক্ষ। এরা বড় বড় রাস্তাগুলো যেমন সড়ক, রেলব্যবস্থার প্রধান শক্তি। সেগুলো তারা করে দিচ্ছে। রাজউকের মহাপরিকল্পনার নাম প্রথমে ছিল ‘ঢাকা মাস্টারপ্ল্যান। পরে হলো ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান সংক্ষেপে ডিএমডিপি। এখন কাজ চলছে ‘ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান-এর। এটা ২০১৬ থেকে ২০৩৫ সাল ২০ বছর মেয়াদি। এ প্ল্যানটার খসড়া তৈরি হয়েছে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। সেটা এখনও অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন না পেলে নগর পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা কঠিন হবে। এটা অনুমোদন দেওয়া খুব জরুরি। এটা অনুমোদন ঝাড়াই ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। কাজ করুক, কিন্তু মাস্টারপ্ল্যানটা অনুমোদন জরুরি। এটা অনুমোদন পেলে আমরা জানতে পারব রাস্তাঘাট কী হবে। এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে গণপরিবহনকে। এতে সুপারিশ হলোÑকমপক্ষে ছয়টি মেট্রোরেল লাইন বা মেট্রোলাইনের। আর হলো র‌্যাপিড বাস, চক্রাকার নৌরুট ইত্যাদি। কমিউটার ট্রেন বাইরে থেকে আসবে, ঢাকা থেকে বাইরে ঘন ঘন যাওয়া-আসা করবে। চক্রাকার নৌরুট যেটা আগেও চেষ্টা করা হয়েছে, কার্যকর হয়নি। আবার চেষ্টা করা প্রয়োজন। তিনটি রিং রোড করার পরিকল্পনা আছে। একটি কেন্দ্রীয় ইনার, একটি মধ্যাঞ্চলীয়, আরেকটি আউটার রিং রোড ঢাকার শহরতলির চারদিক দিয়ে চক্রাকারভাবে হবে। এটা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আছে। আমরা দেখছি, এরই মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে মেট্রোরেল। উত্তরা থেকে মিরপুর, আগারগাঁও হয়ে ফার্মগেট, ঢাকা ইউনিভার্সিটি হয়ে মতিঝিল। এ লাইনটার নম্বর ৬। তার মানে এমন ছয়টি লাইন হবে। এগুলো সবই মাথার ওপর দিয়ে হওয়ার কথা। এখন শুনছি একটা-দুইটা ওপর দিয়ে হবে। বাকিগুলো আন্ডারগ্রাউন্ড। লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্ক, কলকাতার মতো আন্ডারগ্রাউন্ড। কারণ, ওপরে লাইন তৈরি করা খুব কঠিন কাজ। কিন্তু ভূগর্ভস্থ লাইন আবার অধিকতর খরচসাপেক্ষ। তবে এগুলো যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে ঢাকার অনেক সমস্যাই সমাধান হবে। এটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। পরিকল্পনাটা অনুমোদিত হয় ২০০৯ সালে। পরে আবার পুনরনুমোদন নেওয়া হয়।

এটা যদি সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন শুরু করতে পারত তাহলে আমরা এখন দু-তিনটি মেট্রোলাইন দেখতে পেতাম। এখন একটির বাস্তবায়ন আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখানে যে কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, ঘরবাড়ি ব্যক্তিগতভাবে হয়ে যাচ্ছে, রাজউক যদি পরিকল্পনা করে দেয় কোথায় শিল্প হবে, সেখান ব্যবসায়ীরা যাবেন। সরকারের নির্দেশে ট্যানারি সাভারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আপত্তি থাকলেও তারা গেছে। কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সরকার চাইলেই এগুলো হয়, আপত্তি থাকলেও ধীরে ধীরে হয়। না চাইলে হয় না। এটা উপলব্ধি করা যে পরিকল্পনা থাকতেই হবে। পরিকল্পনাটা বাস্তবসম্মতও হতে হবে। ১০ বছর ধরে ঢাকার উন্নয়নে যে মহাযজ্ঞ চলছে, এটা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত জরুরি। মেট্রোরেল, বিআরটি, কমিউটার ট্রেন এগুলো ভবিষ্যতে শহরটা সচল রাখার জন্য, বাঁচিয়ে রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি। এর বিকল্প নেই, করতেই হবে। নির্মাণের সময় পরিবেশগত কিছু সমস্যা তৈরি হয়। ধুলাবালি বাড়ে, সড়কে যাতায়াতে সমস্যা হয়। প্রধান রাস্তাগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। নির্মাণ ব্যবস্থাপনা ভালো না হলে আরও অসুবিধা হয়। বৃষ্টির কারণে জলজট হয়। নির্মাণকালীন এ কষ্ট-দুর্ভোগ আমাদের মেনে নিতে হবে। এটুকু সহ্য করতেই হবে। সরকারের দায়িত্ব হবে যত কম দুর্ভোগে কাজটা সফলভাবে শেষ করা যায়।

  • নগরবিদ ও সভাপতি, নগর গবেষণা কেন্দ্র
শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা