ইসলামী স্থাপত্য
আবদুল্লাহ আল-মামুন
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:০৬ পিএম
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১২ এএম
কাবিল ভূঁইয়া জামে মসজিদ। ছবি : সংগৃহীত
কাবিল ভূঁইয়া জামে
মসজিদ, ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামে কাবিল
ভূঁইয়া বাড়ির সামনে অবস্থিত। মসজিদটি দেশবিদেশের মানুষের কাছে একটি গ্রামকে পরিচিত
করেছে। কাবিল ভূঁইয়া বাড়িরই বাসিন্দা এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া জানান, মসজিদটি শতবর্ষী।
গ্রামের একাধিক সমাজের মুসল্লি জুমাসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করত। একসময় টিনের ঘর
করা হয়। দেশ স্বাধীনের কয়েক বছর পর ছাদ ঢালাই করে এক তলা মসজিদ ভবন নির্মাণ করা হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে মসজিদের সভাপতি মো. দিলদার হোসেন
ভূঁইয়াসহ সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বৈঠকে মসজিদ ভবনটি নতুন করে গড়ে তোলার
পরিকল্পনা হয়। প্রাথমিকভাবে মসজিদের নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয় ৬৫ লাখ টাকা। ২০২১
সালের মাঝামাঝি নতুন আঙ্গিকে মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি শেষ
হয়। গত বছরের ২১ জুলাই জুমার নামাজ আদায়ের মাধ্যমে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের
পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান উদ্বোধন করেন।
মসজিদের নকশা করেছেন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক স্থপতি মো. রাশিদুল হাসান।
ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের বাংলাবাজার থেকে আঁকাবাঁকা পথে মসজিদে যেতে লাগে
কয়েক মিনিট। মসজিদের সামনে পৌঁছে মুগ্ধ হতে হয় এর অনন্য নির্মাণশৈলীতে। দূর থেকে
মসজিদের সামনের অংশ দেখতে অনেকটা টেলিভিশন আকৃতির। মসজিদটি দুই তলা বিশিষ্ট।
সুউচ্চ বিশেষ ধরনের মিনার মসজিদের সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। মসজিদের ঠিক সামনেই
পুকুরপাড়ে একটি ছোট আমগাছ। সড়ক থেকে প্রবেশপথে রেলিং দিয়ে করা বেষ্টনীর দুই পাশের আটটি
সিঁড়ি পেরিয়ে মসজিদে ঢুকতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.
শহীদুল্লাহ জানান, দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসছে।
৪ শতাংশ জায়গার ওপর
দোতলা মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। নিচতলা ও দোতলা মিলে একসঙ্গে ৫০০ মুসল্লি নামাজ
আদায় করতে পারে। মসজিদ নির্মাণে এ যাবৎ প্রায় ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
অনেকের অনুদানে নির্মিত মসজিদটিতে ইটের তেমন কোনো কাজ হয়নি। পাথরের ঢালাই ও কাচ
দিয়েই কাজ শেষ করা হয়েছে।